কলকাতা: শিক্ষা, সচেতনতা, সমাজের বিকাশ--এই সবকিছুর জন্যই প্রয়োজন বই। বিশ্বজুড়ে বইপ্রেমীদের সংখ্যা, সাহিত্য অনুরাগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই বই নিয়েই বিশ্বজুড়ে একটি বিশেষ দিন পালন করা হয়। আজ, ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস (World Book Day)।  World Book and Copyright Day নামে পরিচিত এই দিনটি। একাধিক বিশ্ববিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক ও নাট্যকারের জন্ম ও মৃত্যুদিন ২৩ এপ্রিল। ইউনেস্কোর তরফে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।    
United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation-এর তরফে প্রতিবছর এই কাজ করা হয়। এই বছর ২৬তম ওয়ার্ল্ড বুক ডে পালন করা হবে। ২৩ এপ্রিলই সাহিত্যিক-নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার মারা গিয়েছিলেন।


বিশেষ 'রাজধানী'
প্রতিবছর এই দিনটি পালন করার জন্য একটি বিশেষ শহরকে World Book Capital নির্ধারন করা হয়। ২০২২ সালের জন্য মেক্সিকোর গুয়াডালাহারা (Guadala) শহরকে   World Book Capital নির্ধারন করা হয়েছে। প্রথমবার ২০০১ সালে বিশ্ব বই দিবস পালন করার সময় স্পেনের মাদ্রিদ শহরকে World Book Capital নির্ধারণ করা হয়েছিল। বইশিল্পের সঙ্গে মোট তিনটি ক্ষেত্র যুক্ত। প্রকাশক, বইবিক্রেতা এবং লাইব্রেরি। এদের প্রত্যেকের থেকে প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়। তারাই 'রাজধানী' বেছে নেওয়ার কাজ করে থাকে।


কবে থেকে শুরু:
UNESCO-এর তরফে বই দিবস পালনের প্রসঙ্গ তোলা হয়। ১৯৯৫ সালের প্যারিসে একটি জেনারেল কনফারেন্সে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 


থিমের বাহার নেই:
ইউনাইটেড নেশনসের তরফে একাধিক বিশেষ দিন পালন করা হয়। যার জন্য আলাদা আলাদা দিন থিম বেছে নেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ড বুক ডে'র জন্য কিন্তু সেরকম আলাদা কোনও থিম নেই। শিক্ষার সমান অধিকার, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয় ইউনাইটেড নেশনসের তরফে।  


আরও পড়ুন: কল রয়েছে, জল নেই, ছ'মাস ধরে 'তৃষ্ণার্ত' ঘাটালের গ্রাম, দোষ ঠেলাঠেলি শাসক-বিরোধীর