Afternoon Naps: ভাতঘুমের জন্য শুধু শুধু বদনাম বাঙালির, দুপুরে গড়িয়ে নেওয়ার সুফল অনেক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বাঙালির আর দুপুরের ভাতঘুম, পরস্পরকে আলাদা করা যায় না। কাজের ব্যস্ততায় গোটা সপ্তাহ সময় না মিললেও, ছুটির দিন অন্তত ভাতঘুম ছাড়া চলে না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই ভাতঘুমের জন্য কম বদনামও নেই বাঙালির। অলস বলে কটাক্ষ করেন নিন্দুকেরা। কিন্তু ভাতঘুম মোটেও বদভ্যাস নয়, বরং এর অনেক সুফল রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
দুপুরে পেট ভরে ভাত খাওয়ার পর যখন চোখ খুলে রাখা দায় হয়ে যায়, বিছানায় গড়িয়ে পড়ি আমরা, তাকেই বলা হয় ভাতঘুম। দুপুর ১টা থেকে বিকেল চারটের মধ্যবর্তী সময়ই ভাতঘুমের জন্য বেছে নেওয়া হয় সাধারণত।
১০ মিনিটের জন্য তন্দ্রাভাব আসে কারও, কেউ আবার আধ ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা টেনে দেন ঘুমিয়ে। দুপুরের এই ঘুমকে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দুপুরের এই ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
দুপুরে কিছু ক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারলে, আমাদের মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কার্যক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই মনসংযোগ করতেো সুবিধা হয়।
দুপুরে ঘুমিয়ে নিতে পারলে দুশ্চিন্তা দূর হয়, মানসিক ভাবে চাপমুক্ত বোধ হয় বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। দুপুরে ঘুমালে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়, এর ফলে উৎকণ্ঠা কমে।
দুপুরে ঘুমালে মেজাজও থাকে ফুরফুরে। নেতিবাচক চিন্তা বাসা বাঁধে না মনে। সচেতনতা বাড়ে। সৃজনশীলতা বাড়ে আমাদের মধ্যে।
দুপুরে খানিক ক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারলে স্মৃতিশক্তিও প্রখর হয়। চিন্তাশক্তি বাড়ে। সারাদিনের কাজ এবং খাওয়া-দাওয়া সেরে কিছু ক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারলে, শরীর বিশ্রামও পায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ি না আমরা।
দুপুরে ঘুমানোর অর্থ শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া। এই সময় খিদে জাগানো হরমোনগুলি সক্রিয় থাকে না। এমনকি ঘুম ভাঙার পরও সচরাচর খিদে পায় না। ফলে জাঙ্কফুড খাওয়ার ঝুঁকি যেমন কমে, তেমনি ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
দুপুরে ঘুমিয়ে পড়লে, কার্যক্ষমতা বাড়ে। ঘুম ভেঙে উঠে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারি আমরা। এমনকি সাধারণের তুলনায় কম সময়ে কাজ শেষ করতে পারি। তবে দুপুরে ঘুমানো মানেই একঘুমে ৩-৪ ঘণ্টা পার করে দেওয়া নয়। দুপুরের ঘুম স্বল্প সময়ের জন্যই হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে চাইলে পরামর্শ নিতে পারেন বিশেষজ্ঞদের। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -