Air Pollution : শিয়রে বিপদ ! কীভাবে বাঁচবেন

ইদানিং প্রায়ই শিরোনামে উঠে আসছে, দিল্লির দূষণের কথা। দিনের বেলা দেখাই যাচ্ছে না দিল্লির আকাশ

দূষণ এতটাই, যে সরকারের তরফ থেকে চূড়ান্ত সতর্কতা গ্র্যাপ ফোরও জারি করা হয়েছে

বলা হচ্ছে, একদম প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরোতে। ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ। চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম

ICMR - এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ূ দূষণ এতটাই ভয়াবহ যে এর থেকে মৃত্যুও হয়েছে। হচ্ছেও। শুধুমাত্র ২০১৯ সালে ভারতে যত মৃত্যু হয়েছে, তার ১৮ শতাংশ হয়েছে এই বায়ু দূষণের কারণে

বায়ু দূষণ থেকে COPD, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ হতে পারে। এবং এর থেকে মৃত্যুও অবধারিত হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। প্রতিবন্ধীও হতে পারেন বায়ু দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা

রাজধানী দিল্লিতে এই মুহূর্তে বায়ু দূষণের মাত্রা চরম সীমায়। অর্থাৎ ৪০০ থেকে ৫০০ মাত্রার মধ্যে রয়েছে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স

পিছিয়ে নেই কলকাতাও। ২০০-এর উপরে AQI বেশ কিছু জায়গায়। ২০০ ছুঁইছুঁই অনেক জায়গাতে

পরিবেশবিদরা বলছেন, শীতের শুরুতেই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে কলকাতার অবস্থাও দিল্লির মতই হবে

এর থেকে বাঁচতে কী করতে হবে ? নির্দেশিকা অনেক রয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, তার মধ্যে কয়েকটি। যা আপনাকে বায়ু দূষণ থেকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে

খুব প্রয়োজন না হলে খড়কুটো, জ্বালানি , কয়লার উনুন জ্বালাবেন না সিগারেট, বিড়ি, মসকুইটো কয়েল, স্প্রে - ব্যবহার কমান বা বন্ধ করুন

শস্যের অংশ, প্লাস্টিক, বোতল, বর্জ্য, শুকনো গাছপালা ইত্যাদি জ্বালাবেন না

দূষণ সৃষ্টি হচ্ছে এমন এলাকা থেকে বয়স্ক ও ছোটদের দূরে রাখুন। প্রয়োজনে নাকমুখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করুন

এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ২০০-র উপরে থাকলে মর্নিং ও ইভনিং ওয়াক বন্ধ রাখতে হবে। বাজি পোড়াবেন না, ফাটাবেন না।

শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, বুকে ব্যথা, ক্লান্তির মত সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন

বায়ু দূষণের প্রভাব কমাতে যতটা সম্ভব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা গণ পরিবহন ব্যবহার করে যাতায়াত করুন

যতবেশি সবুজ। তত বেশি প্রাণ। দূষণ কমাতে, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে গাছ বসান। আরও বেশি করে। গাছ যাতে না কাটা হয় তা দেখুন।