Relationship Tips: সম্পর্ক মানেই শুধু কাছাকাছি থাকা! সীমারেখাও সমান জরুরি
ভাঙার জন্য সম্পর্ক গড়েন না কেউই। ভালবাসা, বিশ্বাস, পারস্পরিক বোঝাপড়াই যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তি। তা সত্ত্বেও সময়ের সঙ্গে ভিত নড়বড়ে হয়ে যায় সম্পর্কের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসম্পর্ক যখন গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকে, দমবন্ধ হয়ে আসে, সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসাই শ্রেয়। কিন্তু সম্পর্ক সেই জায়গায় পৌঁছল কী করে, তা ভেবে দেখা উচিত আগে। এ ক্ষেত্রে সীমারেখার অনুপস্থিতিও অনেকাংশে দায়ী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কে পারস্পরিক নির্ভরতা, বিশ্বাসযোগ্যতা যেমন প্রয়োজন। তেমনই সমীরেখাও প্রয়োজন সমান ভাবে। তাতেই সম্পর্কের স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্পর্কে কোন জিনিসের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, আর কোন জিনিসের নেই, তা নির্ধারণ করে সীমারেখা। তাই সীমারেখা থাকলে নিজেদের স্বার্থেই সতর্ক হব আমরা। একই সঙ্গে নিজের নিজের ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল হব।
সম্পর্কে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সময়, জায়গার নিরিখে সবসময় তাতে একমত নাও হতে পারেন কেউ কেউ। পার্কে বসে হয়ত কারও মনে হল একটু কাছাকাছি আসার। তার আগে অপর জনের মতামত জানাও জরুরি। তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ নাও করতে পারেন।
সময় নিয়েও সীমারেখা থাকা উচিত। সময় না দিলে কোনও সম্পর্কই টেকে না, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয় না পরস্পরের প্রতি। আবার একসঙ্গে থাকাও যেমন জরুরি, ‘মি টাইম’ও প্রয়োজন সমান ভাবে।
যৌনতার ক্ষেত্রে সীমারেখা সবচেয়ে প্রয়োজন। পরস্পরের প্রত্যাশা জেনে রাখা উচিত যেমন, তেমন সীমাবদ্ধতাও। মনে রাখতে হবে, যৌন স্বাধীনতাও সকলের প্রাপ্য। তাই পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল আমরা। কিন্তু বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে, সম্পর্কে সামনের জন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন। আবার বেশি দখলদারিও কাম্য নয়।
এমন দিনের আশঙ্কা করেই হয়ত বিজ্ঞানের অপকারিতা সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা এসেছিল। কারণ আজকাল এক ঘরে থেকেও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার চেয়ে, ফোনো বা গ্যাজেটসে মুখ গুঁজে থাকি আমরা। সম্পর্কে যেন তা অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়। সেই মতো নিয়ম বেঁধে নিতে পারেন, যে কখন কতটা সময় গ্যাজেটস নিয়ে কাটানো যায়।
সম্পর্কে জড়ালে পরস্পরের সঙ্গে সব কথা ভাগাভাগি করে নিই আমরা। কিন্তু কোন সময়ে কোন কথা বলা যায়, কতটা ভাগ করে নিতে চাইছেন সামনের জন, তাও বোঝা জরুরি। কোনও কিছুর জন্য জোরাজুরি করা উচিত নয়। বরং বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হলে, আপনা থেকেই মনের কথা খুলে বলা যায়। আবার বড় ধাক্কার পর ধাতস্থ হতে সময় লাগে। এগুলি বুঝতে হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -