Eggs: কীভাবে ডিম খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর?
ডিম (Egg) খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। নিরামিশাষী মানুষ ছাড়া কম-বেশি সকলেরই পছন্দের খাবার ডিম। ডিম ভাজা, ডিম সেদ্ধ, ডিমের তরকারি, এছাড়া ডিম দিয়ে আরও যতরকম পদ তৈরি করা যায়, সব একেবারে চেটেপুটে খেয়ে নেয় ছোট থেকে বড় সকলেই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআজকের দিনে মানুষ বড়ই কর্মব্যস্ত। শুধু ছেলেরাই বাইরে গিয়ে কাজ করবে আর মেয়েরা বাড়িতে বসে রান্না করে যাবে, এমন দিন আর নেই। তাই রান্নার জন্য এখন সময় কমে গিয়েছে মেয়েদের হাতে।
অফিস বা কাজ সামলে তবে না বাড়ি গিয়ে রান্না। তাই, সকাল বিকেল রান্না করার সময়টুকুও নেই। একবার রাঁধছেন, আর বারবার গরম (Reheat) করে তা খাচ্ছেন।
সব রান্নার ক্ষেত্রেই যখন এমন, তখন ডিমের ক্ষেত্রেও নিশ্চয় তাই করছেন? কিন্তু, জানেন কি, এতে শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?
আপনি কি জানেন যে, কাঁচা ডিম খাওয়া ভাল নাকি রান্না করা ডিম খাওয়া ভাল? সম্প্রতি একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন গ্রহণ এবং তা হজম, দু’দিক থেকেই কাঁচা ডিমের চেয়ে এগিয়ে রান্না করা ডিম। রান্না করা ডিমে প্রোটিন থাকে ৯১ শতাংশ।
সেখানে কাঁচা ডিমে প্রোটিন থাকে ৫০ শতাংশ। কাঁচা ডিমে সুপাচ্য বা হজমসাধ্য প্রোটিনের পরিমাণ ৩ গ্রাম। রান্না করা গোটা ডিমে সেটাই হল ৬ গ্রাম অর্থাত্ দ্বিগুণ। ডিম রান্নার সময় তার পুষ্টিগুণে গঠনগত পরিবর্তন হয়।
বেড়ে যায় হজমসাধ্য প্রোটিনের পরিমাণ। ডিমে থাকা ট্রিপসিন এনজাইম প্রোটিন ভেঙে তা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু কাঁচা ডিমে থাকা অন্য এনজাইম বা উৎসেচক ট্রিপসিনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে প্রোটিনের সহজপাচ্যতা বিঘ্নিত হয়।
রান্না করা ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর জানলে অবার হবেন যে, একবার রান্নার পর ফের গরম করতে গিয়ে সেই ডিমের পুষ্টিগুণটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিম দ্বিতীয় বার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়।
ডিমের মধ্যে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। ওই ব্যাকটেরিয়া পেটের পক্ষে ক্ষতিকারকও বটে। বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, ডিমের ঝোল বা ওমলেট কিংবা ডিম দিয়ে তৈরি কোনও খাবারই একবার রান্নার পর ফের গরম করে খাওয়া ভাল নয়। তাই, এবার থেকে ডিমটা একবার রান্না করেই খান। সেটাকে বারবার গরম করে খেলে উপকার তো পাবেনই না। বরং, ক্ষতি হবে আপনার।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -