COPD : কাশিতে ওষ্ঠাগত প্রাণ? আটকে যাচ্ছে দম? কীভাবে আলাদা করবেন সাধারণ সর্দি-গর্মি ও COPD কে?
পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে ভারতে মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ COPD অসুখে আক্রান্ত। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ সিওপিডি আক্রান্ত। সংখ্যাটা ৬০০ মিলিয়নে পৌঁছে যেতে পারে আর বছর কুড়ির মধ্যে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকী এই ভয়ঙ্কর অসুখ ? কী কী লক্ষণ ? সিওপিডি আক্রান্তদের সমস্যার মূলই হল শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালীর আস্তরনে প্রদাহ হওয়া এবং ফুলে যাওয়া। তার ফলে ওই বায়ু যাওয়া-আসা করার রাস্তাটা আরও সরু হয়ে যায়, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে সমস্যা হয়। WHO এর দাবি, প্রতি ১০ সেকেন্ডে সিওপিডি-তে আক্রান্ত হয়ে এক জন রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
সিওপিডির ফুল ফর্মই বলে দিচ্ছে, হঠাৎ করে হওয়া বা হঠাৎ করে ওষুধ খেয়ে সেরে যাওয়ার অসুখ এটা নয়। এটি ক্রনিক অসুখ। দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা । চিকিৎসার অবহেলায় এর অভিঘাত বাড়তে থাকে। ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দিকেও।
কীভাবে চিনবেন COPD? সিওপিডির প্রধান উপসর্গগুলি অ্যাজমার সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়। প্রায়শই শ্বাসকষ্ট, টানা কাশি, অনেকটা করে সর্দি উঠে আসা, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
বুকের মধ্যে থেকে সাঁই সাঁই শব্দ, শ্বাসকষ্ট এবং ক্লান্তি সিওপিডির প্রধান লক্ষণ। সিওপিডি-আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ভোরবেলার দিকে এই উপসর্গগুলো বাড়তে শুরু করে।
ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের ক্ষেত্রে শ্লেষ্মা ও দীর্ঘমেয়াদি কাশি ( বছরে অন্তত ৩ মাস কাশি থাকবে ) চলে। আর এমফিসিমা (Emphysema) , যেখানে অ্যালভিওলাইয়ের দেওয়াল ফুলে যায়, ফুসফুসটা অনেক বড় করে দেয়। ফুসফুস থেকে হাওয়া বের হতে সমস্য়া তৈরি হয় । এই দুই ক্ষেত্রেই বারবার করে ইনফেকশন হতে থাকে।
এই রোগ নির্ণয় করা হয় স্পাইরোমেট্রি নামক শ্বাস-প্রশ্বাসের পরীক্ষা দ্বারা। এই পরীক্ষা ফুসফুস কীভাবে কাজ করছে তা পরিমাপ করে।
মাথায় রাখতে হবে, উপসর্গ দেখে অবহেলা করলে সিওপিডি মারাত্মক দিকে যেতে পারে। অবস্থা গুরুতর হলে ভেন্টিলেশনেও পাঠাতে হতে পারে রোগীকে। কখনও কখনও ভেন্টিলেশন থেকে বের করাও যায় না। তাই অবস্থা গুরুতর হওয়ার আগেই আটকান। উন্নত চিকিৎসা ও ওষুধের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -