Health Tips: ভারতীয়দের জন্য কতটা উপযোগী বাজারচলতি আইক্রিম! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, জেনে নিন

রাতজাগা, দুশ্চিন্তা, এ সবের প্রভাব সবার আগে পরিলক্ষিত হয় মুখমণ্ডলেই। চোখের নীচের ডার্ক সার্কল, কালো ছোপ, চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এ সব থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনের উপর হাজার হাজার টাকা খরচ করেন অনেকেই। যাতে সামান্য প্রলেপেই চেহারায় ফিরে আসে সতেজতা।

কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয়দের উপর বাজারে কিনতে পাওয়া আইক্রিম কি সত্যিই কার্যকর! জেনে নিন বিশদে।

চোখের চারপাশের ত্বক এমনিতেই বেশি সংবেদনশীল। রোদে বেরোনো থেকে সবকিছুর প্রভাব তার উপরই বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই চোখের চারপাশের ত্বকের বিশেষ যত্ন অবশ্যই প্রয়োজন।

কিন্তু দামি প্রসাধনীর ব্যবহারে সাময়িক প্রলেপ লাগানো গেলেও, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নামীদামি সংস্থার আইক্রিম চিরস্থায়ী ফল দিতে পারে না বলে মনে করেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয়দের ত্বকের ধরন আলাদা। তাই বিদেশিদের অনুকরণ করতে গেলে বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে জলদিই।

চোখের নীচে কালো ছোপের অর্থ রক্তনালি আরও সুষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেখান থেকে রক্ত চুঁইয়েও কালো দাগের আকারে ধরা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আইক্রিম কাজে লাগে না।

তাই চোখের নীচের কালো ছোপ দূর করতে অনেকে লেজার থেরাপি, কোলাজেন সিন্থেসিস প্রক্রিয়ার সাহায্য নেন। আইক্রিমের ক্ষেত্রে রেটিনল, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে যুক্ত ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।

কিছু ক্রিম চোখের নীচে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেই চলে। কিছু ক্রিম আবার নির্ধারিত সময়ের পর তুলে ফেলতেও হয়। তাতে ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। বলিরেখাও পড়ে না।

তবে বাজারে সহজেই যে সব ক্রিম পাওয়া যায়, তাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ নামমাত্রই মেলে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অনলাইন আইক্রিম কেনার একেবারেই বিরোধী তাঁরা। আয়ুর্বেদিক ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন। বরং ঠান্ডা করে রাখা টিব্যাগ, শশার কুচি, ঠান্ডা দুধ, অ্যালোভেরার মতো ঘরোয়া উপকরণ অনেক নিরাপদ বলে বলে মনে করেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।