Healthy Breathing Method:বর্ধিত হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন মানা দরকার '4-2-8-2 ব্রিদিং টেকনিক'?
আজকাল, ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবন মিলিয়ে কম-বেশি ঝঞ্ঝাটের মধ্যে দিয়ে প্রত্যেককেই যেতে হয়। স্ট্রেস ও উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি যেন নিত্যসঙ্গী, এমন অভিজ্ঞতাও বিরল নয়। এহেন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে কিছু নির্দিষ্ট 'ব্রিদিং টেকনিক'-র উপর ভরসা করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App'4-2-8-2 ব্রিদিং টেকনিক' এমনই এক ধরনের কৌশল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের প্রাণায়াম যা হৃৎস্পন্দনের বর্ধিত হার নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজে দেয়।
ঠিক কী করতে হয় এই প্রাণায়ামের ক্ষেত্রে? '4-2-8-2 ব্রিদিং টেকনিক'-কে কেউ কেউ 'বক্স ব্রিদিং' বা 'স্কোয়ার ব্রিদিং' বলেও জানেন। এমনিতে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সহজ কৌশল এটি। তবে লক্ষ্য রাখতে হয়, কতটা সময় ধরে শ্বাস নেওয়া, ধরে রাখা ও ছাড়ার হল, সেই দিকে।
সহজ করে বুঝিয়ে বললে, প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাসের প্রত্য়েকটি ধাপ কতক্ষণের হবে, তার জন্য 'কাউন্ট' করতে হয়। এই 'কাউন্ট' ধরে রাখাই এই 'ব্রিদিং টেকনিক'-র বৈশিষ্ট্য।
'4-2-8-2 ব্রিদিং টেকনিক'-র প্রথম ধাপ অর্থাৎ শ্বাস গ্রহণের সময় 4 অর্থাৎ ৪ পর্যন্ত গুনতে হবে। তার পর ২ গোনা পর্যন্ত সেই শ্বাস ধরে রাখতে হবে।
এর পরের ধাপে, শ্বাস ছাড়ার সময় ৮ গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়তে হবে। এই শ্বাস ছাড়া ও পরের শ্বাসগ্রহণের মধ্যে ২ গুণতে হবে। এই কৌশলেই চলবে প্রশ্বাস-নিঃশ্বাসের প্রক্রিয়া।
ডাক্তাররা মনে করেন, নিয়মিত এই টেকনিকে শ্বাসের এক্সারসাইজ করলে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টলিক ব্লাড প্রেশার কমে আসে। কমে হৃদ্স্পন্দনের হারও। স্ট্রেস কমিয়ে মনে শান্ত ভাব আনতেও উপকারিতা রয়েছে এই কৌশলের।
তবে কারও যদি নির্দিষ্ট কোনও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থেকে থাকে, যেমন প্যানিক অ্যাটাক বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, তা হলে শুধুমাত্র এই 'ব্রিদিং টেকনিক' অনুসরণ করলেই হবে না। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। একই পরামর্শ হৃদ্স্পন্দনের বাড়তি হার কমানোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সার্বিক চিকিৎসা কৌশলের একটি অংশ হতে পারে এটি। একক ভাবে লাভজনক নাও হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -