Electric Bill Reduce: বিদ্যুতের বিলে কমবে খরচ! মেনে চলুন এই টিপসগুলি
দু বছর ঘরবন্দী জীবন মানুষকে বেশ ভালভাবেই শিখিয়ে দিয়েছে যে, টাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সঞ্চয় কতটা জরুরী। তাই যতটা সম্ভব প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সঞ্চয় করা উচিত এবং বাড়তি খরচ না করাই উচিত। আর বাড়তি খরচের মধ্যে একটা বেশি বিদ্যুৎ না ব্যবহার করা বা বিদ্যুতের খরচ কমানো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআজও এমন বহু বাড়ি রয়েছে যেখানে পাখা, আলো কিংবা বাকি বিদ্যুৎ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করার পরেও সেটাকে বন্ধ করতে মনে থাকে না। ফলে বাড়তে থাকে বিদ্যুতের বিল। যা এক এক সময়ে মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সংসার ঠেলতে ঠেলতে এত বিদ্যুতের বিল দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে চিন্তা নেই! সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই বেশ বিদ্যুতের বিল সাশ্রয় হতে পারে। কী সেগুলি?
১০ বছর পর পর ঘরের ওয়ারিং বদলানো উচিত। তাতে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কম আসে। এছাড়াও ওয়ারিং করার সময় উন্নতমানের তার ব্যবহার করা উচিত।
প্রত্যেক বাড়িতেই মোটামুটি ফ্রিজ রয়েছে। ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা উচিত নয়, তাতে বিদ্যুতের বিল বাড়তে পারে। ফ্রিজের নীচে কিংবা পিছনে কন্ডেনসার কয়েল নির্দিষ্ট সময় পরিষ্কার করা উচিত। অপরিষ্কার কয়েলের জন্যে বিদ্যুতের বিল অনেকটা বাড়তে পারে। এছাড়াও ফ্রিজের গায়ে রোদ লাগলে বেশি বিদ্যুতের খরচ হতে পারে।
ঘরের বাল্ব অথবা টিউব নিয়মিত সময় পরিষ্কার করা উচিত। লোডশেডিংয়ের সময় ঘরের সমস্ত সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। কারণ হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে এলে এক ঝটকায় বিদ্যুতের বিল অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া পাঁচ বছর অন্তর বাড়ির পাখা, আলো সহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বদলে ফেলা ভালো।
বাড়িতে ব্যবহৃত টিভি কিংবা কম্পিউটারে সবসময় স্ট্যান্ড বাই মোডে রাখলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। টিভি সবসময় রিমোটের সাহায্যে বন্ধ না করে সুইচ বোর্ডের থেকে বন্ধ করা উচিত।
বর্ষাকালে ওয়াশিং মেশিনে জামা কাপড় কাচার পরে শুকানোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভাল। এছাড়া বাড়িতে এসি থাকলে সেটির তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে রাখাই ভাল। এছাড়া এখন এনার্জি সাশ্রয়কারী অনেক এসি, ফ্ৰিজ, এয়ার কন্ডিশনার কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলি বিদ্যুৎ বাঁচাতে সহায়ক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -