Graphology: সৎ না অসৎ, হাতের লেখা থেকে কীভাবে বুঝবেন কে কেমন?
দুই ব্যক্তির আঙুলের ছাপ যেমন এক হতে পারে না, তেমনি দুই ব্যক্তির হাতের লেখাও এক হতে পারে না। হাতের লেখা শুধু একজন মানুষের পরিচয়ই নয়, তার ব্যক্তিত্বের দর্পণও বটে। প্রত্যেকের সইয়ে একটা স্বকীয়তা থাকে। গ্রাফোলজির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির চরিত্রকে বিশ্লেষণ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅনেক গবেষকই এই প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান না। তবে, গ্রাফোলজিস্টদের তরফেও যুক্তি যে কম আছে তা কিন্তু নয়। তারা নানা তথ্য প্রমাণ দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন গ্রাফোলজির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির চরিত্রকে বিশ্লেষণ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব।
মানুষের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় শব্দ তার নাম, সেহেতু সে তার সইটা করে অনেক যত্নে আর একেবারে নিজের পছন্দমতো। সকলেই চায় তার সইটা হবে সবার চেয়ে আলাদা। এটাই প্রত্যেকের সইয়ে একটা স্বকীয়তা দান করে, যার থেকে স্বাক্ষরকারীর স্বভাবটা অনেকটা চেনা যায়।
একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে, বিভিন্ন সময়ে আবেগের ওপর নির্ভর করে একই মানুষের হাতের লেখা বিভিন্ন রকম হয়। উত্তেজনার সময় হাতের লেখা হয় অসংলগ্ন, তা নির্দিষ্ট লাইন মেনে চলে না এবং শব্দের মধ্যবর্তী অক্ষরগুলো প্রায় দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। অন্যদিকে আবার য-ফলা বা রেফ এর মতো শব্দ থেকে বেরিয়ে থাকা চিহ্নগুলো খুব বড় বড় হয়ে যায়।
সেই একই মানুষই যখন আনন্দে থাকেন, তখন সই করার সময় একটু জোরে চাপ দিয়ে লেখেন এবং অক্ষরগুলো খুব স্পষ্ট হয়। আবার বিষণ্ন পরিস্থিতিতে হাতের লেখা হয়ে যায় খুব ছোট, অক্ষরগুলো হয় খুব গায়ে ঘেঁষা এবং বড় বড় টান প্রায় থাকে না বললেই চলে। এসব ক্ষেত্রে যেমন তাৎক্ষণিক মানসিক অবস্থার একটা পরিচয় হাতের লেখায় পাওয়া যায়, তেমনি মানুষের সামগ্রিক মানসিকতার একটা প্রতিফলন তার সই থেকেও পাওয়া যায়।
হাতের লেখায়, প্রথমে অক্ষরের আকারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শব্দগুলি খুব ছোট, খুব বড় নাকি সমানুপাতিক তা প্রথমে বোঝা দরকার। যেকোনো অক্ষরকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে, উপরের অংশ, কেন্দ্র এবং নীচের অংশ। চিঠির উপরের অংশটি জীবনের মূল্য নির্দেশ করে, যখন মাঝের অংশটি বলে যে ব্যক্তি কতটা ব্যবহারিক এবং নীচের অংশটি ইচ্ছা এবং কর্ম সম্পর্কে নির্দেশ করে।
যদি অক্ষরের মাঝের অংশটি অনুপাত অনুসারে হয় তবে এটি একটি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এই জাতীয় ব্যক্তি আরও ব্যবহারিক এবং পরিস্থিতির সাথে খাপ খায়। ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের একজন ব্যক্তি তার চারপাশের লোকদেরও যত্ন নেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পছন্দ করেন। আর এই ধরনের লোকদের সাথে দীর্ঘ অংশীদারিত্ব বা চুক্তি করা যেতে পারে। যদি মাঝখানের অংশটি অনুপাতের চেয়ে অনেক বড় হয়, তবে এটি ব্যক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষার লক্ষণ এবং তাও এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।
‘গ্রাফোলজি’র দৌলতে সই থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দোষ-গুণ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যায়, যা বেশ চিত্তাকর্ষকও বটে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -