Healthy Eating Habits: মেদ ঝরাতে শুধু খাদ্যাভ্যাস নয়, কীভাবে খাবার খাচ্ছেন, নজর থাকুক সেই দিকেও
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন- এইসবের পাশাপাশি কীভাবে আপনি খাবার খাচ্ছেন সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে না চললে কড়া ডায়েটে থাকলেও ওজন কমবে না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ডায়েট মানে না খাওয়া অবস্থায় থাকা নয়। তাই বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। এর ফলে ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে।
অনেকের মিডনাইট স্ন্যাকিং করার প্রবণতা থাকে। অর্থাৎ রাত জেগে কাজ করা, পড়াশোনা কিংবা ফোনে মগ্ন থাকা, সিনেমা-সিরিজ দেখা, গান শোনার পাশাপাশি নাগাড়ে চলতে থাকে মুখ। এই ধরনের খ্যাদ্যাভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করা প্রয়োজন। নাহলে ডায়েট করলেও উপকার পাবেন না।
জলখাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা দরকার। পেট ভরে জলখাবার খান। কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দিনের শুরুতেই ভাজাভুজি কিংবা গুরুপাক খাবার খাবেন না। এর ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি এইসব সমস্যা দেখা যেতে পারে।
খাবার খেতে বসে মনযোগ দিয়ে খাবার খান। হাতে ফোন, কানে হেডফোন, সামনে টিভি- এগুলো না চলাই ভাল। অন্যমনস্ক হয়ে পড়লে বিষম লাগতে পারে। তাই যখন খাবার খেতে বসবেন, তখন খাবারের দিকেই মন দেওয়া ভাল।
খেতে বসে অনেকেরই জল খাওয়ার প্রবণতা থাকে। এই বদভ্যাস ত্যাগ করুন অবিলম্বে। প্রয়োজনে জল অবশ্যই খান। কিন্তু প্রতি গ্রাসের সঙ্গে জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই খারাপ। পাতে অতিরিক্ত কাঁচা নুন কিংবা অতিরিক্ত ঝাল, দুটো খাওয়ার অভ্যাসই স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।
ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করলে অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কারণ এই জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। তার সঙ্গে মেটাবলিজম রেট বাড়াবে। ফলে ওজন কমবে দ্রুত হারে।
দিনের যেকোনও খাবার খাওয়ার সময় এমন উপকরণই বেছে নিন যেগুলি পুষ্টির জোগান দেবে, সহজে হজম হবে, এনার্জি জোগাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে, ভিটামিন-প্রোটিন-মিনারেলসে ভরপুর হবে। কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
জলখাবার কখনই বাদ দেবেন না। কারণ রাতে খাবার খাওয়ার পর অনেকক্ষণ আপনি খালি পেটে থাকেন। এরপর যদি জলখাবার না খান তাহলে দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অসময়ে খাবার না খাওয়াই ভাল। সারাদিনে সময় মেনে খাওয়া দাওয়া করুন। একসঙ্গে অনেকটা খাবার না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প করে খাবার খেতে পারলে আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। ডায়েট করতে গিয়ে যেন শরীরে পুষ্টি উপকরণের ঘাটতি না হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। সবচেয়ে ভাল হয় ডায়েটিং শুরুর আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -