Detox Drinks: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পার্টির প্ল্যান তৈরি, হ্যাংওভার কাটাতে কোন কোন পানীয় সঙ্গে রাখবেন?
সদ্যই পেরিয়েছে ক্রিসমাস। সামনেই আসছে নিউ ইয়ার্স ইভ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অনেকেই বছরশেষে রাতভর পার্টি করবেন। ৩১ ডিসেম্বরের পার্টি মানে সেখানে অ্যালকোহল থাকবে। আর অ্যালোকহলের সঙ্গে সঙ্গে আসে হ্যাংওভারের সমস্যা। এই সমস্যা দূর করার জন্য পার্টির পরে বেশ কিছু পানীয় খেতে পারেন আপনি। সেগুলো কী কী, রইল তারই তালিকা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসবার আগে মাথায় রাখবেন শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে দেওয়া যাবে না কোনওভাবেই। অতএব শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয়, সেই জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। শুধু পার্টির পরে ডিটক্সিফিকেশনের জন্য জল খেলেই হবে না। যেদিন পার্টির প্ল্যান রয়েছে, সেদিন সকাল থেকে বারেবারে মেপে মেপে জল খেতে থাকুন।
এবার দেখে নেওয়া যাক পার্টি হ্যাংওভার কাটাতে কোন কোন পানীয় আপনি খেতে পারেন। বাড়িতে থাকা কিছু উপকরণ দিয়েই সহজে এইসব ডিটক্স ড্রিঙ্কস তৈরি করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লেবুজল। এক্ষেত্রে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করুন।
শুধু লেবুর রস মেশানো জল খেলে গা-গুলিয়ে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সামান্য বিটনুন মিশিয়ে নিতে পারেন। এই পানীয় একবারে অনেকটা খাবেন না। বারে বারে অল্প অল্প করে খেতে হবে লেবুজল। তাহলে কাটবে হ্যাংওভার।
আদা মেশানো জল খেলেও পার্টির পরের অ্যালকোহলজনিত হ্যাংওভার সহজে কেটে যায়। এক্ষেত্রে আদার রস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। কিংবা আদা মিহি করে কেটে জলে দিয়ে সেটা ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল খেতে পারেন।
আদা হল ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা আপনার গা গোলানো বমিভাব দূর করবে সহজে। এছাড়াও আদা হজমশক্তি স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। পার্টি মানে অ্যালোকোহলের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খাবারও খাওয়া হয়। এগুলি সহজে হজম করাবে আদার রস।
নারকেলের জল কিংবা ডাবের জল ডিটক্স ড্রিঙ্কস হিসেবে খেতে পারেন। এর সাহায্যেও পার্টির পরের অ্যালকোহলজনিত হ্যাংওভারের সমস্যা অর্থাৎ গা-গোলানো, বমিভাব ইত্যাদি দূর করা যায়।
হ্যাংওভারের সমস্যা দূর করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়। নারকেল বা ডাবের জলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটস, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই উপকরণগুলি আমাদের শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
পার্টির পরের হ্যাংওভার কাটাতে খেতে পারেন গ্রিন টি। বাড়িতে খুব সহজেই গ্রিন টি বানিয়েও নিতে পারেন। আজকাল অনেকেই দিনে অন্তত একবার গ্রিন টি এমনিতেও খেয়ে থাকেন। ফলে গ্রিন টি তৈরির উপকরণ বেশিরভাগেরই বাড়িতে মজুত থাকে।
গ্রিন টি- এর মধ্যে রয়েছে এল-থিয়ানিন নামের এক প্রকারের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা আমাদের মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি হ্যাংওভারজনিত গা-গোলানো, বমিভাব এবং মাথা ঝিম ধরা ভাব এইসবই দূর করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -