Toxic Mother In Law: একটুতেই অশান্তি, ঠোকাঠুকি? শাশুড়ির সঙ্গে সংঘাত সামাল দেবেন যেভাবে...
দাম্পত্য সম্পর্ক মানে সুখ-দুঃখে দু’জন মানুষের পাশাপাশি থাকার অঙ্গীকার। কিন্তু ভারতীয় সমাজে বিয়ে শুধুমাত্র দু’জন মানুষের জীবনের প্রশ্ন নয়,তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং পরিবারের অন্যদের ভাল থাকা, খারাপ থাকাও।- ছবি: ফ্রিপিক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে, বিয়ের পর শাশুড়ির সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠতেই সময় লেগে যায় অনেকটা। কিছু ক্ষেত্রে শাশুড়ির বিরুদ্ধে সবেতে নাক গলানোর অভিযোগ ওঠে, কিছু ক্ষেত্রে আবার ছেলেকে হাতের পুতুল করে রাখার অভিযোগও সামনে আসে। এক্ষেত্রে ঝগড়াঝাঁটি নয়, বরং বুদ্ধি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক।
সব বিষয়েই শাশুড়ি বউমার সমালোচনা করেন, কথায় কথায় খুঁত ধরেন বলে অভিযোগ সামনে আসে। ছেলে-বউমার দাম্পত্যকে শাশুড়ি নিজের মর্জি মতো পরিচালনা করতে চাইছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে স্বামীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। নিজে ঝগড়া করতে না গিয়ে স্বামীকে পাঠান তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে। ছবি: ফ্রিপিক।
সামান্য কিছুতেই শাশুড়ির আচরণ পাল্টে যাওয়া থেকে কথার উত্তর না দেওয়া, আচার-আচরণে বউমাকে অপছন্দ করার বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া, এমন অভিযোগও উঠে আসে। এক্ষেত্রে নিজের প্রত্যাশা কমিয়ে আনা দরকার। প্রত্যাশা যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে দুর্ব্যবহারও গায়ে লাগবে না। বাস্তবকে মেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
স্বামী-স্ত্রীর সিদ্ধান্তে কি প্রায়শই ঢুকে পড়ছেন শাশুড়ি? জীবনযাপনের ধরনই হোক বা সন্তানধারণের জন্য পীড়াপীড়ি, সবেতেই কি এক্তিয়ার ছাড়িয়ে যাচ্ছেন? সেক্ষেত্রে অবস্থান বুঝিয়ে দিতে হবে অবশ্যই। স্বামী-স্ত্রী যদি এব্যাপারে একমত হন, সেক্ষেত্রে শাশুড়িকে সেটা বোঝাতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক।
ছেলের উপর নিজের অধিকার কায়েম করতে কি সবসময় মুখিয়ে থাকেন শাশুড়ি? কোথাও কি একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব টের পাচ্ছেন? এক্ষেত্রে খুব সাবধানে এগোতে হবে। বোঝা দরকার, ছেলের প্রতি মায়ের বেশি টান থাকবেই। সেখানে অন্য একজনের প্রবেশ হয়ত মেনে নিতে সময় লাগছে তাঁর। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করুন স্বামীর সঙ্গে। তাতেও সুরাহা না হলে, থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। নিজের সুখ-শান্তির সঙ্গে আপস না করাই ভাল। ছবি: ফ্রিপিক।
আপনার বিরুদ্ধে স্বামীর কানে শাশুড়ি মন্ত্রণা দিচ্ছেন মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও রাখঢাক নয়, সত্যাসত্য তুলে ধরাই শ্রেয়। কারণ সম্পর্কে একবার অবিশ্বাস, তিক্ততা তৈরি হলে, তা কাটিয়ে ওঠা মুশকিল। ছবি: ফ্রিপিক।
সবসময় কি নিজের মহানতা তুলে ধরেন শাশুড়ি? আপনাকে ছোট করে তৃপ্তি পান তিনি? বুঝতে হবে ভিতরে ভিতরে হীনম্মন্যতায় ভোগেন তিনি। এক্ষেত্রে নিজেকে শক্ত করতে হবে। কারণ এতে মানসিক অশান্তি বাড়তে পারে। নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করতে হবে আপনাকেই। এক কান দিয়ে শুনবেন, অন্য কান দিয়ে বের করে দেবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
বাইরের লোকের সঙ্গে কি আপনাকে নিয়ে আলোচনা করেন শাশুড়ি? পরিবারের সকলে একত্রিত হলে, সেখানেও আপনি হন সমালোচনার পাত্রী? এক্ষেত্রে সরাসরি প্রশ্ন তুলুন। কোনও সমস্যা থাকলে আপনাকে না বলে কেন বাইরে চর্চা করছেন তিনি, জানতে চান। কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে মিটিয়ে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
অশান্তি নিয়ে দীর্ঘদিন সংসার চলতে পারে না। এতে স্বামীর সঙ্গে আপনার বোঝাপড়াতেও প্রভাব পড়তে পারে। চেষ্টা করুন কোনও কথাকেই গায়ে না মাখার। সামনের জন কিছু বললেই তা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, এমনটা মোটেই নয়। তবে পরিস্থিতি যদি হাতের বাইরে চলে যায়, সেক্ষেত্রে মাথা তুলে দাঁড়ান। নিজের অবস্থান স্পষ্ট বুঝিয়ে দিন। কোনও রকম মানসিক অত্যাচার যে সহ্য করবেন না, তা বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। আত্মবিশ্বাস টাল খেলে অবশ্যই থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলুন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও খোলাখুলি আলোচনা করুন। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। ছবি: ফ্রিপিক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -