Sleep Hacks: জেগে কাটাতে হবে না রাত, এই টোটকায় মাত্র ২ মিনিটেই আসবে ঘুম...
এপাশ, ওপাশ করে রাত কেটে যায়, তবুও দু'চোখের পাতা এক হয় না। অনিদ্রায় ভোগেন যাঁরা, তাঁরা রোজই এই সমস্যার মুখোমুখি হন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু আপনাআপনি ঘুম না এলেও, চটজলদি ঘুমকে ডেকে আনার উপায়ও রয়েছে। মাত্র দু'মিনিটেই চোখের পাতা ভারী হয়ে আসবে এই পদ্ধতিতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিনিদ্র রাত কাটত সৈনিকদের। সেই সময় এক বিশেষজ্ঞ চটজলদি ঘুমানোর উপায় বের করেন। এই পদ্ধতিতে প্রথমে গোটা মুখের পেশি শিথিল করতে হয়, এমনকি মুখের ভিতরকার পেশিও। আস্তে আস্তে ঘা়ড়, কাঁধ, পিঠ, কোমর, উরু, পায়ের পেশি শিথিল করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকুক।
এর পর কোথাও আরামে রয়েছেন বলে কল্পনা করুন। মাথায় অন্য চিন্তা ভর করতে দিলে হবে না। প্রয়োজনে ১০ বার 'চিন্তা নয়' আওড়াতে হবে। এই পদ্ধতিতে ১২০ সেকেন্ডের মধ্যে সৈনিকরা ঘুমিয়ে পড়েন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে, চটজলদি ঘুম আসার জন্য ৪-৭-৮ পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস আয়ত্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে জিভের ডগা দিয়ে মুখের উপরের অংশ, (সামনের দাঁতের পিছনের অংশ) স্পর্শ করুন। ওই অবস্থাতেই মুখ দিয়ে খানিকটা শিস দেওয়ার মতো করে বাতাস ছাড়ুন। এর পর মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে জোরে শ্বাস নিন। এই সময় ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গুনুন।
এর পর ৭ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। কোনও অবস্থাতেই অন্যথা হওয়া চলবে না। ধীরে ধীরে জিভের ডগা মুখের উপরে ঠেকানো অবস্থাতেই ৮ সেকেন্ড ধরে শিস দেওয়ার মতো করে বাতাস ছেড়ে দিন। এভাবে চার বার অভ্যাস করুন।
তৃতীয় পদ্ধতিতে, ভুরুযুগলকে ৫ সেকেন্ডের জন্য কপালে যতদূর সম্ভব তুলে রাখুন। এতে কপালের পেশি শক্ত হয়ে যাবে। এর পর পেশি শিথিল করুন। ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। এবার চওড়া হাসি হাসুন। ৫ সেকেন্ড হাসিমুখেই থাকুন। এর পর আবার গালের পেশিকে শিথিল হতে দিন ১০ সেকেন্ডের জন্য।
একই ভাবে চোখের পাতা জোর করে বন্ধ করে রাখুন ৫ সেকেন্ড। তার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যান। ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। এর পর মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকুন ৫ সেকেন্ড। আবার বালিশের উপর মাথা তুলে আনুন স্বাভাবিক অবস্থায়। ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। হাতের কনুই, বুক, উরু এবং থাইয়ের পেশিও এভাবে টানটান রেখে আবার শিথিল করুন।
চতুর্থ পদ্ধতিতে, চোখ বন্ধ করে সুন্দর কোনও দৃশ্য কল্পনা করুন। ঝর্ণা হতে পারে, নদী হতে পারে, ঘাস হতে পারে। এতে মাথায় অন্য চিন্তা ভর করবে না। তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
বিছানায় একবার শুয়ে পড়লে ফোন ঘাঁটা থেকে বিরত থাকুন। ঘর অন্ধকার থাকুক। দিনের বেলা শরীরচর্চা করুন। ক্যাফিন জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকুন। সারাদিনের পরিশ্রমের পর ঘুম আসতে বাধ্য। যে কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করার আগে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন অবশ্যই। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -