Children's Health: চনমনে ভাব উধাও, হঠাৎই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে সন্তান, কিছু লক্ষণই বলে দেয় ছোটরা অবসাদে ভুগছে কিনা
শৈশব থেকে কৈশোর, তার পর তারুণ্য, বড় হতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে আসতে হয় আমাদের। তাই শৈশব যে কোনও শিশুর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভবিষ্যতের ভিতই হল শৈশব।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু আগের মতো সহজ-সরল হিসেব আর নেই। কঠিন বাস্তবের সামনে শৈশবের সারল্যও চ্যালেঞ্জের মুখে এসে পড়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো ছোটরাও তার কোপে পড়ছে। অবসাদ গ্রাস করে নিচ্ছে তাদেরও।
তাই বর্তমান সময়ে শিশুমনকে বোঝা, জানা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে বাড়ির ছোট্ট সদস্যটি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কিনা, নজর রাখতে হবে সেদিকে। আচরণে পরিবর্তন, ঘন ঘন মেজাজ পাল্টানো, এসব দেখলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
image 2
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তো বটেই, ছোটদের অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার নেপথ্যে কাজ করে আরও অনেক বিষয়। থাইরক্সিন, কর্টিসোল, সেরোটোনিনের ওঠাপড়ার পাশাপাশি মাথার উপর অত্যধিক চাপ, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে আটকে থাকা, কাছের কারও চলে যাওয়া, কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারা, মা-বাবার মধ্যেকার ঝামেলাও দায়ী হতে পারে অবসাদের জন্য।
নিজেদের আবেগ স্পষ্ট বোঝাতে পারে না ছোটরা। তাই নজর রাখতে হবে বড়দেরই। একটুতেই যদি বিরক্ত হয়ে যায় কোনও বাচ্চা, কথায় কথায় রেগে যাওয়া, উৎকণ্ঠায় ভোগা, হইচইয়ের মধ্যে থেকেও নির্বিকার ভাব দেখলে সতর্ক হোন।
চনমনে কোনও বাচ্চা হঠাৎ যদি স্থবির হয়ে যায়, লোকজনের থেকে দূরে থাকার প্রবণতা, কোনও কিছুতে যদি আগ্রহ না পায় সতর্ক হতে হবে। বাচ্চা একাকীত্ব বোধ করলে, হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিলে, রোগা হয়ে গেলেও সতর্ক হোন।
সবসময় যে এই লক্ষণগুলি অবসাদের, তেমন নয়। তবে দীর্ঘদিন এমন চললে, বুঝতে হবে কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে। যত শীঘ্র সম্ভব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছেলেমেয়েকে অবসাদ থেকে বের করে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন মা-বাবাই। পড়াশোনার বাইরে সন্তানের আর কী পছন্দ জানতে চান। ফাঁকা সময়ে নিয়ে হাঁটতে বেরোন, একসঙ্গে খেলাধূলা করুন। ওইসময়ে পড়াশোনা নিয়ে কথা না বলাই ভাল।
আপনার সন্তানের দুর্বলতা কোথায়, আগে জানুন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। ডায়েটে থাকুক ফল, খেজুর, ডিম, দুধ, বাদাম। এতে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ে।
মা-বাবা সন্তানের বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু সারা ক্ষণ খুঁত ধরে বেড়ানো, অন্যের সঙ্গে তুলনা করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। জীবনে যত অশান্তিই থাকুক না কেন, কোনও ভাবে সন্তানের উপর রাগ দেখাবেন না বা প্রকারান্তরে দূরে ঠেলে দেবেন না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -