Money: টাকা জমাতে চাইলে আগে কোন জিনিসগুলো কেনা বন্ধ করা উচিত?
আমরা এমন অনেক জিনিস কিনে ফেলি যেগুলো আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কেনাকাটা বা কাজ আমাদের সঞ্চয় বা প্রতি মাসের খরচের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যখন আপনার উপার্জনের চেয়ে খরচ বেশি হবে তখন কোনোভাবেই আর সঞ্চয় করতে পারবেন না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতাই খরচের সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস ও কাজ পরিবর্তন করতে হবে। বাদ দিতে হবে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক
বাইরে কোনো দামি রেস্টুরেন্টে বসে মজার মজার খাবার খাওয়া যথেষ্ট আকর্ষণীয় বিষয়, সন্দেহ নেই। কিন্তু এই অভ্যাস আপনার মানিব্যাগ দ্রুতই খালি করে দেবে। এমনকী ঘরে বসে বাইরে খাবার অর্ডার করে খাওয়ার অভ্যাসও বাড়তি খরচের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে বাড়তি খরচ বন্ধ করা সহজ হবে।
নিজেকে স্মার্ট এবং ধনী প্রমাণ করার জন্য কিছুদিন পরপর নতুন ফোন কেনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদি বাজারে নতুন ফোন আসে আর তা কেনার জন্য সবাই হুমড়ি খেয়েও পড়ে, তবু আপনি সেই স্রোতে গা ভাসাতে যাবেন না। কারণ আপনি যে ফোনটি ব্যবহার করছেন সেটি কিন্তু দক্ষতার সঙ্গেই আরও কয়েক বছর কাজ করতে পারবে।
বিভিন্ন সাবস্ক্রিপন নেওয়াটা লোভনীয় হতে পারে তবে এগুলো বছর শেষে আপনার হাতে একটি বড় খরচের হিসাব ধরিয়ে দেবে। এগুলো কেবল খরচই বাড়ায় না সেইসঙ্গে আপনাকে অলসও করে দেয়। বাড়িতে শুয়ে বসে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনগুলোতে এলোমেলো ঢুঁ মারার অভ্যাস আপনাকে কর্মক্ষম হতে বাধা দেবে।
কোনোকিছু কিনতে মন চাইলে কিনে ফেলা খারাপ কিছু নয়। তবে মনে রাখবেন, এর এই অভ্যাস সীমার মধ্যে থাকাই ভালো। আবেগে পড়ে কিছু কিনতে যাবেন না। পরবর্তী মাসের বেতন পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি টাকা হিসাব করে খরচ করুন। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করলে আপনার খরচ অনেকটাই কমে আসবে।
ছোট ছোট পদক্ষেপ দিয়েই সঞ্চয় শুরু হয়। আপনি যদি বার বার এটা-সেটা কিনতে যান তবে খরচ আরও বেশি হয়ে যাবে। তাই ঘন ঘন দোকানে যাওয়ার পরিবর্তে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একবারেই অনেকগুলো কিনে আনুন। প্রয়োজনীয় বাজার, যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী একবারে কিনে আনুন। একসঙ্গে অনেকগুলো কিনলে অনেক সময় ছাড়ও পাওয়া যায়। সেসব জিনিস প্রয়োজন অনুসারে হিসাব করে খরচ করুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -