Diabetic Plan: মধুমেহের চিন্তা? পাতে থাকুক বেশি প্রোটিন
হাইপারটেনশন থেকে স্ট্রেস, অতিরিক্ত চিন্তা. ইদানিং এমন সমস্যায় জেরবার অনেরেই। জীবনযাপনের অভ্যাসের ফলেই শরীরে থাবা বসায় ডায়াবেটিস বা মধুমেহ। যাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের প্রকোপের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই সমস্য়া রুখতে শরীরচর্চা করতে বলে থাকেন চিকিৎসকরা। তার পাশাপাশি কড়া নজর রাখতে হয় খাবারেও। কিন্তু কী হবে ডায়েট? এই প্রশ্নই মনে ঘোরাফেরা করে বরাবর।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-ইন্ডিয়া ডায়াবেটিস় এর নয়া রিপোর্ট এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে প্রোটিনে ভরসা বাড়ালে কমবে ডায়াবেটিসের সমস্যা। এমনটাই জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
Indian Council of Medical Research-India Diabetes বা ICMR-INDIAB-এর তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট জাতীয় পোষক পদার্থ গ্রহণ নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা হয়েছিল। একটি গাণিতিক মডেলের সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে কীভাবে খাওয়ার পরিমাণ বা ধরণ ঠিক করা যায়।
এই গবেষণা পত্রের অন্যতম লেখক চিকিৎসক ভি মোহন জানাচ্ছেন, ভারতে এখন চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস। বিপুল সংখ্যক মানুষ এর শিকার। পাশাপাশি প্রি-ডায়াবেটিক অর্থার ডায়াবেটিস হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তার চেয়েও বেশি সংখ্যক নাগরিক। উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাসেই বাড়ছে বিপদ।
ভাত হোক কিংবা আটা বা ময়দা, দুটিই সমান সমস্যা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কোনও ব্যক্তি সারাদিনে তাঁর গ্রহণ করা ক্যালোরির মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৫০-৫৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারেন এবং প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে পারেন, তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে
তবে ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ বা মুরগির মাংস অথবা উদ্ভিজ্জ উৎস সেই প্রোটিন নিতে হবে। কোনওভাবেই রেড মিট নয়। এখন সাধারণত কোনও ব্যক্তি, সারাদিনে তাঁর গ্রহণ করা ক্যালোরির মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে থাকেন। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এখনই ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে এমন ব্যক্তির জন্য সারাদিনের ক্যালোরির মধ্যে ৫০-৫৪ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকবে, ১৯-২০ শতাংশ প্রোটিন থাকবে, ২১-২৬ শতাংশ স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকবে এবং ফাইবার থাকবে ৫-৬ শতাংশ।
তবে পুরুষ এবং নারী ভেদে এর পরিমাণ সামান্য এদিক-ওদিক হবে। বয়সের উপরেও পরিমাণ নির্ভর করবে। কতটা শরীরচর্চা করা হয়ে থাকে, তার উপরও অনেকটা নির্ভর করবে এই হিসেব।
খাওয়ার দিকে খেয়াল তো রাখতেই হবে। তার সঙ্গেই প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চারও। সকালে বা বিকেলে যখন যেমন সময় হবে সেরকমই কোনও না কোনওভাবে ব্যয়াম বা সাঁতার বা জিম করতে হবে। লাভ হবে নিয়মিত হাঁটলেও।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। সব ছবি: Pexels
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -