Lifestyle:শীত মানে খসখসে ত্বক? বাড়িতে এই ক'টি জিনিস থাকলেই আর চিন্তা নয়
শীত মানেই ত্বকে খসখস ভাব। ফেলে রাখলে সেই খসখস ভাব থেকে হতে পারে চুলকানি, নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা। বহু সময়েই শীতের সময়ের এই ত্বকের সমস্যার নেপথ্যে থাকে 'ড্রাইনেস', বাংলায় শুষ্কতা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএমনিতে, যাঁদের ত্বকে শুষ্ক ভাব বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে বছরভরই এটি একটি সমস্যা। তবে শীতের সময় ত্বকের শুষ্কতা অন্য মাত্রায় চলে যেতে পারে। ময়শ্চারাইজার ব্যবহার ছাড়াও এই সমস্যা মোকবিলায় কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা হামেশা শোনা যায়।
এ ব্যাপারে একেবারে প্রথমেই নারকেল তেলের নাম আসবে। এখনও, বহু বাড়িতে, বছরভর তেল মেখে স্নানের অভ্যাস রয়েছে। তবে শীতের সময় গায়ে হাত-পায়ে নারকেল তেলের ব্যবহারে আস্থা রাখেন বহু মানুষ।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দারুণ কার্যকরী 'শিয়া বাটার'। ড্রাইনেসের ফলে ত্বকে যে ফাটাফুটি দেখা যায়, তা আটকাতে এর জুড়ি মেলা ভার। প্রদাহ মোকাবিলাতেও শিয়া বাটারের উপর ভরসা রাখেন অনেকে।
হলুদের বহু গুণের কথা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু ত্বকের শুষ্কতা মোকাবিলাতেও যে এটি কাজে লাগে, সেটা হয়তো সে ভাবে খেয়াল করিনি কেউ কেউ। এর মধ্যে থাকা 'কারকিউমিন'-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণাগুণ রয়েছে। ফলে, শুষ্কতার সমস্যা কমাতে হলুদও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাটারমিল্ক বা ঘোল অনেকে হয়তো খেতে পছন্দ করেন। তবে এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড যে ত্বকের আর্দ্রতা ফেরানোর পাশাপাশি 'ডেড স্কিন সেলস' দূর করতেও কার্যকরী, সেটা হয়তো আমরা জানি না। এই শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা মোকাবিলায় একবার বাটারমিল্ক ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এছাড়া অ্যালোভেরা তো রয়েছেই। ভিটামিন সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা ত্বকে জলীয় পদার্থের ভারসাম্য ফেরাতে সাহায্য় করে। পাশাপাশি ব্রণ এবং rash-র সমস্যা কমাতেও কাজে দেয়।
সবথেকে মজার কথা হল, কম-বেশি হাতের নাগালেই মেলে এই উপাদানগুলি। অ্যালোভেরা বাদ দিলে বাকি উপাদানগুলি সহজে বানানোও যায়।
তা হলে এই শীতে আর শুষ্ক ত্বকের জন্য চিন্তা নয়। তবে এই উপাদানগুলি ব্যবহারে কারও কারও অসুবিধা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ত্বকের কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে এগোনোই একমাত্র উপায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -