Lifestyle:কাজের জায়গায় 'শিফট' বদল? খাবারের দিকে নজর রাখছেন?
কাজের চাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাজের ধরন, কাজের সময়। এখন এমন একাধিক পেশা রয়েছে যেখানে কাজের সময় বলে দিনের নির্দিষ্ট কোনও অংশ নেই। ২৪ ঘণ্টাকে বিভিন্ন 'শিফট'-এ ভেঙে প্রত্যেক শিফটেই কাজ করেন কিছু কিছু কর্মী। নির্দিষ্ট মেয়াদ অন্তর, কর্মীদের শিফট বদলায়। দিনের পরিবর্তে রাত জেগে কাজ করতে হয় তাঁদের। সে সময় শরীরের দিকে কতটুকু খেয়াল করি আমরা?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপেশার তাগিদে আমাদের অনেককেই এই ধরনের 'পরিবর্তনশীল শিফট'-র সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। তবে বিষয়টি যে স্বাস্থ্য়ের পক্ষে ক্ষতিকর, সে কথা অনেকেই খেয়াল করেন না। বিশেষত, যাঁরা কোনও না কোনও কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য বিষয়টি আরও জরুরি।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শিফটের চ্যালেঞ্জ সামলেও খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর রাখা সম্ভব। শুধু মাথায় রাখতে হবে, চাপ যতই হোক, খাওয়ার কথা ভোলা যাবে না।
কর্মক্ষেত্রে অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, সময়ে খেতে না পারা। কাজের চাপে বহু ক্ষেত্রেই খাওয়াদাওয়া পিছনের সারিতে চলে যায়। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, শরীর সুস্থ রাখতে হলে অন্তত ৪ ঘণ্টা বাদে খেতেই হবে। শিফটের সময় বুঝে খাবারের পদ ঠিক করলে ভাল। কিন্তু এর বেশি 'গ্যাপ' দেওয়া যাবে না।
দিনের প্রধান যে খাবার, সেটা যেন সুষম হয়। অর্থাৎ সবজি, সবুজ স্যালাড, পনির, ছোলা, স্যুপ, ব্রাউন রাইস থাকলে ভাল। তবে শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী এর উপাদান বদল হতে পারে।
চাপের মধ্যে জাঙ্কফুডের হাতছানি যেন আরও অলঙ্ঘনীয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু যাঁরা এই ধরনের পরিবর্তনশীল শিফটে কাজ করেন, তাঁদের ফ্যাটে ভরপুর ও ফাইবার-হীন জাঙ্কফুড ছুঁতে স্রেফ বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রয়োজনে টাটকা ফল, বাদাম, ড্রাই ফ্রুট সঙ্গে রাখতে পারেন। খিদে পেলে এগুলি খাওয়া স্বাস্থ্য়কর।
হোল গ্রেন থেকে তৈরি খাবারও খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের অনেকে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য়ের বাকি দিকগুলিও নজরে রাখা সম্ভব।
সবথেকে বড় কথা, এটা মাথায় রাখা দরকার যে পরিবর্তনশীল শিফট মানেই শরীরের প্রকৃতিপ্রদত্ত নিয়মের সঙ্গে কাটাছেড়া। তাই সতর্ক থাকা দরকার। খাবারের ব্যাপারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিলে ভাল হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -