How To Handle Grief:মনের কষ্ট মনেই রাখেন? একবার মন খুলে কথা বলবেন নাকি?
দুঃখ, কষ্ট। শারীরিক যন্ত্রণার কথা নয়, এই অসুবিধা মনের। কখনও ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যা, কখনও পেশাদার জায়গার ওঠাপড়া, আবার কখনও প্রিয়জনের সঙ্গে চিরবিচ্ছেদ, দুঃখের কারণ এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমন নিয়ে যাঁদের চর্চা, সেই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দুঃখ-কষ্টের অনুভূতি বাকি অনুভূতিগুলির মতোই স্বাভাবিক। তবে তা যদি নিয়মিত ফিরে ফিরে আসে বা কারণের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ না হয়, তা হলে আলাদা নজর দেওয়া দরকার। না হলে, আমাদের ব্যক্তিগত-সামাজিক-পেশাদার জীবনে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা।
আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে দুঃখ-কষ্টের অনুভূতি নিয়ে এই আলাদা ভাবে ভাবনার দরকার হয় না ঠিকই। তার অর্থ এই নয় যে, কারও ক্ষেত্রেই এর প্রয়োজন হবে না। এখন প্রশ্ন হল, এই ধরনের প্রয়োজনে কী করা যেতে পারে?
কষ্টের অনুভূতি মনের ভিতরে কখনও আমাদের অজান্তেই একটা নিরাপত্তাবোধের অভাব তৈরি করতে পারে। তাই প্রথমে যেটা প্রয়োজন, তা হল দুঃখের মুহূর্তে ভরসার কাউকে মনের কথা বলা। কাজটি কঠিন, সব সময় কাছের কাউকে নাও পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও উপায় রয়েছে।
নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস রয়েছে? তা হলে দুঃখ, কেন এরকম অনুভূতি হচ্ছে, ঠিক কখন হচ্ছে, এই নিয়ে ডায়েরিতে লিখে ফেলে দেখতে পারেন। যদি ডায়েরি লেখার অভ্যাস না থাকে, তা হলে ল্যাপটপ বা মোবাইলেও লিখতে পারেন।
এতে দুটি সুফল রয়েছে। প্রথমত, কষ্টের কারণ ও নিজের অনুভূতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়। দ্বিতীয়ত, কষ্টের মুহূর্তের পাশাপাশি ডায়েরিতে লেখা ভালো মুহূর্তগুলি ফিরে দেখতে পারবেন।
এমন কোনও সৃজনশীল কাজ, যা ভালোবাসেন, তাতে নতুন করে শুরু করুন। এতে এই ধরনের অনুভূতি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে আসবে।
তবে একটি বিষয় ভুললে চলবে না। সব সময় স্রেফ নিজের চেষ্টায় এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনো সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে মনোবিদ বা মনোচিকিৎসকরা সব সময় সাহায্য় করতে পারেন। শুধু আপনার সাহায্য়ের হাতটুকু পাতার অপেক্ষা। তার পর প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করে এই পর্যায় কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। শুধু মনে রাখা দরকার, বাকি সময়ের মতো এটিও সাময়িক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -