Steps to Walk: নানাজনের নানা নিদান, স্থূলতা দূর করতে কয় পা হাঁটবেন, ঠিক করুন ধাপে ধাপে
ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয়, শরীরচর্চাও সমান জরুরি, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু কত ক্ষণ হাঁটবেন, গুনে গুনে ক’পা ফেলবেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশরীরচর্চার সঙ্গে ইদানীং জুড়ে গিয়েছে প্রযুক্তি। হাতের ডিজিটাল ঘড়ি হাঁটাহাঁটি, ক্যালরি সবকিছুর জানান দিচ্ছে। কিন্তু স্থূলতা কমাতে ঠিক কয় পা হাঁটা উচিত রোজ! জেনে নিন বিশদে।
ওজন দূর করতে রোজ ১০ হাজার পা ফেলা জরুরি, বেশ কয়েক বছর ধরে এই নিদানকেই বেদবাক্য মনে করে চলছেন মানুষজন। কিন্তু স্থূলতা কাটিয়ে উঠতে, ডায়বিটিসকে পরাস্ত করতে ঠিক কয় পা হাঁটবেন!
‘অল অফ আস রিসার্চ প্রকল্প’-এর গবেষণা উঠে এসেছে, রোজ ৮ হাজার ৬০০ পা হাঁটলে মেদ জমতে পারবে না শরীরে। প্রাপ্তবয়স্করা স্থূলতা কাটিয়ে উঠতে রোজ ১১ হাজার পা হাঁটতে পারেন।
বিগত চার বছর ধরে ৬ হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে ওই গবেষণা চালানো হয়। তাতে ওজন ঝরানো, স্থূসলতাকে হারানোর পাশাপাশি হাঁটাহাঁটিতে অবসাদ, ডায়বিটিস এবং হাইপারটেনশনও দূর হয়।
গবেষকদের মতে, স্থূলতা আজকের দিনে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট। এর থেকে হৃদরোগ, ডায়বিটিস এমনকি ক্যানসারও বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। খাবার আমাদের শরীরে এনার্জিতে পরিণত হয়। তাকে কাজে লাগিয়েই সচল থাকে দেহ।
কিন্তু বেশি ক্যালরি শরীরে গেলে তা ফ্যাটে পরিণত হয়। কম বয়সিদের শরীরে রোজ ১৬০০ ক্যালরি যাওয়া কাম্য। ছোট ছেলেমেয়েরা রোজ ২০০০ ক্যালরি সম্পৃক্ত খাবার খেতে পারে।
তবে কোনও কিছুতেই তাড়াহুড়ো ভাল নয়। শরীরচর্চার অভ্যাস একেবারেই নেই যাঁদের, গোড়াতেই ৮-১০ হাজার পা ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা উচিত নয় তাঁদের। বরং প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার করে বাড়ানো উচিত লক্ষ্যমাত্রা।
তবে এ ক্ষেত্রেও বয়স, ওজন, শারীরিক ক্ষমতার উপর দাঁড়িয়েই সবকিছু ঠিক করা উচিত। হাঁটার গতিবেগও ঠিক করে নিতে হবে। খাবারের মাধ্যমে যত ক্যালরি যায় শরীরে, তার বেশি ঝরাতেই হবে।
হাঁটাহাঁটির অভ্যাস থাকলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়বিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওস্টিওপোরোসিস এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এতে মেজাজও হয় ফুরফুরে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -