Health Tips:ওজনবৃদ্ধির ভয়ে খাওয়া কমছে? খেলেও উগরে দেওয়ার প্রবণতা? Eating Disorder-র চেনা সমস্যায় কী করবেন?
মেদ ঝরাতে ডায়েট, এক্সারসাইজ করছেন? কোথাও এই রোগা হওয়ার তাগিদ মাত্রাছাড়া হয়ে যাচ্ছে না তো? কী করে বুঝবেন সুষ্ঠু জীবনযাপন এবং Eating disorder-র ফারাক? (ছবি:Freepik)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসাধারণ ভাবে দেখা গিয়েছে, Eating ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি খাওয়াদাওয়া নিয়ে এমন আচরণ করেন যাতে খাবারের সঙ্গে তাঁদের যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তা পাল্টে যেতে থাকে। ওজনবৃদ্ধি নিয়ে ভীষণ রকম সতর্ক থাকেন এঁরা। বিষয়টি বিচ্ছিন্ন 'ডায়েটিং' বা ' ওভারইটিং'-র থেকে অনেকটাই আলাদা। এই আচরণের ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্তও হয়ে পড়তে পারেন তিনি।
এর মধ্যে অন্যতম Anorexia Nervosa। ভয়ঙ্কর কম খাওয়াদাওয়া এই Eating disorder-র অন্যতম লক্ষণ। শরীর সচল রাখতে ন্যূনতম যতটুকু শক্তি প্রয়োজন, এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ততটুকু খাওয়াদাওয়াও করতে চান না। তাঁদের মধ্য়ে ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে অস্বাভাবিক উদ্বেগ কাজ করে। খাওয়া কমানোর পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত এক্সারসাইজ-ও করেন এঁরা। কঙ্কালসার চেহারা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়ত মনে হতে থাকে, মেদ কমছে না।(ছবি:PIXABAY)
এত রকম আশঙ্কার মধ্যেও আশার আলোটিও ক্ষীণ নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সরখেল জানালেন, এর চিকিৎসা সম্ভব। প্রথমত, এই ডিসঅর্ডারের মধ্যে রোগা হওয়ার যে 'অবসেশন' কাজ করে, সেটা কমানোর জন্য ওষুধ রয়েছে। এছাড়া সাইকোথেরাপিও ভাল কাজ করে। সুদীপা আরও বললেন, 'bully হওয়ার যে ইতিহাস থেকে এই রোগা হওয়ার অবসেশন তৈরি হয়, সেটি সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি এক্ষেত্রে দারুণ কাজে দিতে পারে।'
ভারতে Eating Disorder নিয়ে গবেষণা এখনও পর্যন্ত খুব একটা বেশি হয়নি, জানাচ্ছেন মনোবিশেষজ্ঞরা। তবে, নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি বিষয় তাঁরা বার বার উঠে আসতে দেখেছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সুজিত সরখেল যেমন মনে করেন,'বডি-ইমেজ নিয়ে এই সচেতনতা মূলত পশ্চিমি দুনিয়ায় দেখা গেলেও ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বিশ্বের নানা প্রান্তে এই ছিপছিপে চেহারার প্রতি তাগিদ বেশি।'
মনোবিদ সুদীপা বসু এর সঙ্গে আবার bullying-র বিষয়টিও জুড়লেন। তাঁর কথায়, 'যে কটি রোগী দেখেছি, তাঁদের বেশিরভাগেরই অতীতে মেদবহুলতার জন্য খোরাক হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সেখান থেকে কারও কারও ক্ষেত্রে রোগা হওয়ার এই অসমঞ্জস তাগিদ তৈরি হয়।' তবে শুধু আর্থ-সামাজিক বা মানসিক কারণ নয়। যে কোনও ডিসঅর্ডারের মতো Eating Disorder-র নেপথ্যে কিছু শারীরবৃত্তীয় কারণও থাকতে পারে, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। (ছবি:PIXABAY)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -