Lifestyle:দূরে নয় শীত, ভুলেও সবজিগুলির কথা ভুলবেন না

দুর্গাপুজো শেষ। আজ বাদে কাল লক্ষ্মীপুজো। দিনের বেলা পরিষ্কার আকাশ থাকলেও সন্ধে হতেই বাতাসে হালকা ঠান্ডার আমেজ। বোঝা যায়, শীত আর বেশি দূরে নয়। আর শীত মানেই নানা রকম সব সবজি।

চাইলে জিভে জল আনা পদ হিসেবে খাওয়া রান্না করা যেতে পারে। আবার, প্রত্যেক দিনের রান্নারও জরুরি উপকরণ হতে পারে এগুলি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতের সবজি মানেই অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক উপাদানে ভরপুর।

পালংশাকের কথাই ধরা যাক। শীত কালের সবজি বাজার পালংশাকের অমোঘ হাতছানি। নানা রকম ভাবে খাওয়া যেতে পারে এটি।

জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ছাড়াও ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং ই-তে ভরপুর পালং শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জরুরি ভূমিকা নেয়। হাড়ের জোর বাড়ানো এবং দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পালংশাকের।

গাজর ভালোবাসেন? কারও ক্ষেত্রে স্পষ্ট উত্তর হ্যাঁ, কেউ হয়তো বলবেন না। কিন্তু পছন্দ নির্বিশেষে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ গাজর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে দেয়।

মুলো। পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে এতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শীতে যে ফ্লু হয়, তা আটকাতেও সাহায্য করে এই সবজি।

বিটের গুণাগুণের কথা হয়তো ছোটবেলা থেকে অনেকেই শুনে থাকবেন। একদিকে জরুরি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ বিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়, অন্য দিকে বিবেচনা শক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এটির।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটির ক্যালরির পরিমাণ কম। সেটিও একটি বাড়তি স্বাস্থ্যগুণ বিটের।

শীতের সবজির গুণাগুণ বলতে গিয়ে ব্রকোলির কথা ভুললে চলবে না। এর মধ্যে থাকা সালফোরাফেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায়।

সবশেষে একটি বিষয় মনে রাখতে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও ধরনের শাক-সবজির সঠিক ভাবে পরিষ্কার করে খাওয়া বাঞ্ছনীয়। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তা ছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কোনও কোনও সবজিতে কারও অন্য অসুূবিধাও হতে পারে। কাজেই, একবার পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে এগোলে ভাল।