What is Nanoship: এক পলকের একটু দেখাই যথেষ্ট, সম্পর্কের নয়া সমীকরণ Nanoship
সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণও বদলেছে। যত দিন যাচ্ছে, বিয়ে-সংসারের প্রতি মানুষের অনীহা তৈরি হচ্ছে বলে ধরা পড়েছে একাধিক সমীক্ষায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছেও সম্পর্কের ধ্যান-ধারণা বদলে গিয়েছে। সম্পর্কে আপস করার পক্ষপাতী নন তাঁরা। শুধুমাত্র সমাজ-সংসারের কথা ভেবে প্রাণহীন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষপাতী নন মোটেই।
এই আবহে সম্পর্কের নতুন নতুন সংজ্ঞাও তৈরি হয়েছে। এতদিন Situationship ছিল চর্চার বিষয়, যেখানে সম্পর্ককে কোনও নাম দেওয়ার তাগিদ থাকে না, একজনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বালাইও নেই।
কিন্তু এবার সম্পর্কের নয়া সংজ্ঞা সামনে এল, যাকে বলা হচ্ছে Nanoship. ২০২৪ সালে সম্পর্কের সমীকরণকে ব্যাখ্যা করতে এই শব্দটিকেই বেছে নিয়েছে ডেটিং অ্যাপ Tinder.
৮ হাজার একাকী মানুষ, যাঁরা সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সক্রিয়, তাঁদের নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছে Tinder. তাতে দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সিদের কাছে সম্পর্কের অর্থ দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি নয় শুধু। ছোট ছোট মুহূর্তে প্রেম খুঁজে নেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা।
উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, কোনও অনুষ্ঠান বা বিয়েবাড়িতে গিয়ে হয়ত পরস্পরকে ভাল লাগল দুই মানুষের। চোখে চোখে কথা হল, হাসি বিনিময় হল। কিছু ক্ষণের জন্য ফুরফুরে মন।
ওই ক্ষণিকের ভাললাগাতেই খুশি হচ্ছেন অনেকে। না কোনও প্রতিশ্রুতি আছে, না কোনও দায়বদ্ধতা। কিছু মুহূর্তের জন্য ওই যে ভাললাগা কাজ করে মনে, ঠোঁটের কোণে হাসি ঝোলে, সেটিকেই মনের মণিকোঠায় জায়গা দেন তাঁরা।
শুধু বিয়েবাড়ি নয়, মেট্রোয় কারও সঙ্গে চোখাচোখি, ফোনে কারও সঙ্গে শুধুমাত্র মেসেজ বিনিময়ের মধ্যেও প্রেমের অনুভূতি থাকতে পারে। এই সবকিছুই Nanoship-এর মধ্যে পড়ে, যা মাত্র কয়েক ঘণ্টাও স্থায়ী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক, দায়বদ্ধতার প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে ইদানীং কালে। কিন্তু একাকীত্ব মাঝে মাঝে গ্রাস করে ফেলে আমাদের। কিছু মুহূর্তে কাউকে নিজের ভাবতে মন চায়।
২০২৫ সালে তো বটেই, আগামী দিনেও এই Nanoship-এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু মুহূর্তের জন্য হলেও, মনের সংযোগকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেকেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -