Post Lunch Nap: খামোকা বাঙালির ভাতঘুমের বদনাম! দুপুরে গড়িয়ে নেওয়ার সুফল অনেক, বলছেন চিকিৎসকরাই
বাঙালির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ভাতঘুমের তত্ত্ব। বাড়িতে থাকুন অথবা অফিসে, দুপুরে পেট ভরে খাওয়ার পর চোখ খুলে রাখাই দায় হয়। আলস্য ভেবে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাই করি আমরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু ভাতঘুম বা দুপুরে খাওয়ার পর যে ঘুম পায়, তার ইতিবাচক দিকও রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, দুপুরে খাওয়ার পর খানিক ক্ষণ ঘুমিয়ে নিলে শরীর এবং মন ঝরঝরে লাগে।
তবে দুপুরের ঘুম শুনেই লাফিয়ে উঠবেন না। কত ক্ষণ ঘুমোবেন, কখন ঘুমোবেন, তাও জেনে রাখা দরকার। কারণ দুপুরে অঘোরে ঘুম দিলে বাকি গোটা দিনই মাটি হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, দুপুরে ঘুমের অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। কিন্তু আজকের দিনে তার জন্য যেমন সময় নেই আমাদের কাছে, তেমনই দুপুরে ঘুমোলে আরও বেশি ক্লান্তি বোধ, রাতে ঘুম না হওয়া এমনকি স্থূলতার আশঙ্কাও করেন অনেকে।
কিন্তু দুপুরে ঘুমোলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে, দুপুরে ঘুমোতে পারেন। এতে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে।
দুপুরের ঘুম হজমের সমস্যা দূর করে। শারীরিক অসুস্থতা দূর হয়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দুপুরের ঘুম কাজ দেয় বলে মত চিকিৎসকদের একাংশের।
শুধু তাই নয়, দুপুরে ঘুমোলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। কাজের ক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত বোধ করেন। মেজাজ বিগড়ে থাকলে, ঘুমের পর অনেক ধাতস্থ বোধ হয়। দুশ্চিন্তা কমে। সচেতনতা বোধ বাড়ে।
কিন্তু ঘুমের কথা শুনে বিছানায় গড়িয়ে পড়লেই তো হল না! কখন ঘুমোবেন, কত ক্ষণ ঘুমোবেন, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।
চিকিৎসদের মতে, দুপুরের খাওয়ার পর পরই একটু ঘুমিয়ে নিয়ে পারেন। বাঁ দিক ফিরে শুয়ে পড়ুন। ঘুম এসে যাবে। চেয়ারে বসে থাকলে বাঁ দিকে করে এলিয়ে পড়ুন।
তবে দুপুরের ঘুমের অর্থ অঘোরে ঘুম নয়। প্রবীণরা, যাঁরা বাড়িতে থাকেন, বা কেউ যদি খুব অসুস্থ হন, এক থেকে দু’ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন তাঁরা। শিশুদের ক্ষেত্রেও একই সময়সীম।
কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত যাঁরা, রোজ ৯-৫টা অফিসে থাকতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে দুপুরে ১০ থেকে ৩০ মিনিটের ঘুমই যথেষ্ট। দুপুর ১টা থেকে ৩টের মধ্যে খানিক ক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -