Health Tips: স্বাদবদলই নয় শুধু, পরিবর্তন আসবে শরীরেও, একমাস চকোলেট খাওয়া বন্ধ রেখে দেখতে পারেন
জীবনে হাজার দুঃখ-কষ্ট থাকলেও, ছোট ছোট কিছু জিনিস পেলে সব ভুলে যাই আমরা। এর মধ্যে অন্যতম হল চকোলেট। চকোলেট ভালবাসেন না, বা চকোলেটে বিতৃষ্ণা, এমন লোক সচরাচর দেখা যায় না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু একমাস যদি চকোলেট খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাতে আপনার শরীরের উপর কী প্রভাব পড়তে পরে জানেন? চিকিৎসকদের মতে এতে শরীরে আমূল পরিবর্তন আসবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ করে চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিলে, জিভের উপর থাকা স্বাদকোরকগুলি মিষ্টি পেলে আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়বে। এককালে কোনও খাবার যদি বেশি মিষ্টি লাগত, চকোলেট ছাড়ার পর তা খেতে কোনও অসুবিধেই হবে না।
চকোলেট থেকে স্কিনে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিলে ত্বকে পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
হঠাৎ চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিলে বেশি করে মিষ্টি এবং উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার খেতে ইচ্ছে করবে। তা না খেতে পারলে মেজাজও খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু যদি প্রথম ধাপে উতরে যেতে পারেন, চকোলেট ছেড়ে দেওয়ার উপকার বোঝা যাবে বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁদের মতে, চকোলেট ছাড়ার অর্থ শরীরে কম ক্যালরি এবং কম শর্করা যাবে। দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। শরীরে কম ক্যালরি গেলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
হঠাৎ চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিলে, শরীরে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। খিঁচড়ে যেতে পারে মেজাজ। মাথাব্যথা হতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে শরীরও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়।
বললেই তো আর ছেড়ে দেওয়া যায় না! তাই প্রথম দিকে বার বার মন চকোলেটের দিকে ছুটে যেতে চাইবে। তাতে হার না মেনে চকোলেটের বিকল্প খুঁজে বার করতে হবে। এক্ষেত্রে ডার্ক চকোটেলট, যাতে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকো আছে, সেটিকে বেছে নিন। চিনি হোক কম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকুক বেশি।
প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি আম, আনারস, জাম এবং ড্রাই ফ্রুটস বেছে নিতে পারেন চকোলেটের পরিবর্তে। তবে কিছুই যেন অত্যধিক না হয়।
যাঁদের গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্সের সমস্যা রয়েছে অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের চকোলেট এড়িয়ে চলা উচিত। যত বেশি মিষ্টি এড়িয়ে চলেন ভাল। পেটের সমস্যা থাকলেও, চকোলেট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের মতে, একমাস চকোলেট না খেয়ে থাকতে পারলে, পরিবর্তন এমনিতেই চোখে পড়বে। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -