Emotional Detachment: কোনও কিছুই আর নাড়া দেয় না, মানসিক ভাবে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন কিছু মানুষ, বুঝবেন এই লক্ষণগুলি দেখে
যত বড় বাস্তববাদীই হোন না কেন, আবেগ ছাড়া জীবন চলে না। তবে মানুষ বিশেষে আবেগের স্বরূপও আলাদা। কেউ প্রকাশ্যে আবেগঘন হয়ে পড়েন, কারও আবার বুক ফাটলেও, মুখ ফোটে না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু চারপাশের সবকিছু থেকে যদি মন বিচ্ছিন্ন যায়! অসম্ভব মনে হলেও, একদম সম্ভব। জীবনে এমন একটা সময় আসে, যখন চারপাশের সবকিছু খুব ফাঁপা মনে হয়।
এমনি এমনি এমন অনুভূতি তৈরি হয় না। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যও। একটা সময় পর চারপাশের কারও প্রতিই আর টান অনুভূত হয় না। ভিড়, কোলাহলের মধ্যেও দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয় নিজেকে।
মনের এই অবস্থাকে চিকিৎসকরা মানসিক বিচ্ছিন্নতা তথা মেন্টার ডিট্যাচমেন্ট বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু কেন এমন অনুভূতি আসে আমাদের মনে, তার কারণ অত্যন্ত গুরুত্ব।
অতীতের সুঃসহ অভিজ্ঞতা, মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার, আঘাত, অবজ্ঞা থেকে মানসিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি আমরা। ছোটবেলায় এমন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চারপাশে অদৃশ্য দেওয়াল তুলে ফেলি আমরা।
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলেও এমনটা ঘটে অনেক সময়। বাইপোলার ডিসঅর্ডার, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, এমনকি অবসাদ থেকেও এমন অনুভূতি আসতে পারে।
মনসংযোগ ঘটাতে বা শান্তির খোঁজে ধ্যানে নিমগ্ন হই আমরা অনেকেই। আবার অবসাদ দূর করতে খাই ওষুধও। তাতে সাময়িক সুরাহা হলেও, ধীরে ধীরে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করি।
কেউ কেউ নিজে থেকেই খোলসের মধ্যে ঢুকে যান। মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা দূর করতে ভাবলেশহীন হওয়ার ভান করেন। সাময়িক তা কাজ দিলেও, ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়।
নিজের যন্ত্রণা সকলকে বলে বোঝাতে পারেন না অনেকে। কিন্তু নিজের আশেপাশে কাউকে এ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে দেখলে, অবশ্যই এগিয়ে যান সাহায্যে। জানাতে হবে, সব বোঝা তাঁর একার নয়, ভাগ করে নিতে পারেন আপনিও।
জোর জবরদস্তি করে কিছু হবে না। কেউ নিজেকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করলে, যথেষ্ট সময় দিতে হবে তাঁকে। কথায় কথায় খুঁত ধরা, ছোট করে দেখানো বন্ধ করতে হবে। দু’জন মানুষের চিন্তাভাবনা যে আলাদা হবে, তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -