Relationship Tips: জ্ঞান বা ভাষণ নয়, হাতে হাত রাখলেই সম্ভব, সামনের জন মনমরা হয়ে থাকলে যা করণীয়...
সবেতে এত বাড়াবাড়ির কী আছে বলে অনেক সময়ই কাছের মানুষের অনুভূতিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনি না আমরা। সামনের জন মনমরা হয়ে থাকলেও কী কর্তব্য বুঝে উঠতে পারি না আমরা। কী করে তাঁর মুখে হাসি ফেরানো যায়, পাশে থেকে আশ্বাস জোগানো যায়, মাথায় আসে না। কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপেই কিন্তু হতে পারে সমাধান।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকাউকে ভাল রাখতে গেলে সবার আগে তাঁর মনকে বোঝা উচিত। এক্ষেত্রে তাঁর কথা শোনা উচিত মন দিয়ে। শোনার ভান করে নয়, মন দিয়ে খুঁটিনাটি বোঝার চেষ্টা করুন। সবসময় একমত না পোষণ করলেও, সরাসরি সমালোচনা না করাই ভাল।
অনেক সময় সামনের জনকে ঠিক বুঝতে পারি না আমরা। নিজের ভাবনার সঙ্গে না মিললেই, তাঁর অনুভূতি খারিজ করে দিই। এতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও সামনের জনকে আঘাত করা হয়। তাই সামনের জনের অনুভূতিকে পত্রপাঠ খারিজ না-ই বা করে দিলেন! বরং কঠিন সময়ে নিজের কী অবস্থা ছিল, তা স্মরণ করেই সমবেদনা জানান।
সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক হয় না সব সময়। সামনের জনের কথার সঙ্গে একমত না হলেও, রেগে যাবেন না, দুর্ব্যবহার করবেন না। বরং তাঁদের প্রতি সমব্যথী হোন। আপনি যে তাঁর সমস্যা বুঝছেন, সেটা জানান।
সামনের জন যখন নিজের মনের কথা উজাড় করে দিচ্ছেন, মাঝপথে তাঁকে থামাবেন না। এতে সামনের জন আহত হতে পারেন। আপনি বোঝার চেষ্টাই করছেন না বলে মনে হতে পারে।
নেতিবাচক ভাবনা দূরে সরিয়ে রাখাই দস্তুর। ইতিবাচক ভাবনার কথা তাই বলেন সকলেই। কিন্তু কঠিন সময়ে এসব কথা বলতে গেলে জ্ঞান বলে মনে হতে পারে সামনের জনের। বরং কঠিন সময়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়াই জরুরি।
কিছু করতে হবে না, কিছু দিতেও হবে না। কঠিন সময়ে শুধু পাশে থাকার আশ্বাসটুকুই চান অনেকে। সেটুকু করাই যায়। সামনের জন যখন কথা বলছেন, সেই সময় ফোন না দেখাই শ্রেয়। পুরোপুরি তাঁকে গুরুত্ব দিন।
কেউ সমস্যার কথা জানালে, শোনার পর নিজের মতামত জানাতেই পারেন। কিন্তু আগে জিজ্ঞেস করে নিন, তিনি আপনার মতামত চাইছেন কি না। তবে মতামত জানাতে পারেন, কিছু চাপিয়ে দিতে যাবেন না।
অযাচিত উপদেশ কাউকে না দেওয়াই ভাল। নিজের ভাবনা নিজের মধ্যেই রাখা উচিত। বুঝতে হবে, সবসময় সামনের জন উপদেশ আশা করেন না। মনের কথাটুকু বলে হালকা হতেও চান।
কথোপকথনেই সমস্যার সমাধান বেরোয়। কিন্তু সামনের মানুষটি যখন মুষড়ে পড়েছেন, তাঁকে বেশি প্রশ্ন না করাই উচিত। আপনার কৌতূহল থাকতেই পারে। কিন্তু যতক্ষণ তিনি নিজে থেকে না বলছেন, নিজেকে সংযত রাখুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -