কলকাতা: এবছর ২২ জুন সকাল থেকে শুরু হয়েছে অম্বুবাচী তিথি (Ambubachi)। থাকবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই সময়ে রজঃস্বলা হন আদ্যাশক্তি। মূলত অসমের কামাখ্যা মন্দিরকে কেন্দ্র করে মেলা গড়ে উঠলেও সারা পৃথিবীর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশেষ এই সময়টিকে গুরুত্ব দেয়। সন্ন্যাসী, তন্ত্র উপাসক ও বিধবা মহিলারা এই সময়ে উপবাস করেন বা গরম কোনও খাবার না খেয়ে আদ্যাশক্তির ধ্যান করেন। 


সাধারণ মানুষের জীবনে সেই অর্থে কোনও পরিবর্তন দেখা না দিলেও প্রাচীনকাল থেকে অম্বুবাচীর সময় কিছু কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। করলে মহাবিপদে পড়তে হবে বলেও বারবার সতর্ক করেছেন। কেউ কেউ এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলেও আজও অনেকেই জানেন না যে ঠিক কোন কাজ করতে নেই অম্বুবাচীর সময়ে। ফলে অজান্তে সমস্যায় পড়তে হয়। আসুন সেই সমস্যার সমাধান করি। জেনে নিই কোনও কাজগুলি এড়িয়ে কাটাতে হবে এই কদিন।


আরও পড়ুন: Astro Tips: এই যোগ থাকলে সারাজীবন কাটে আর্থিক সঙ্কটে, কী কী করলে কাটবে এই সমস্যা?


ধর্মীয় বিশ্বাস, প্রকৃতির উবর্বতার প্রতীক হিসেবে এই সময়ে রজঃস্বলা হন দেবী। তাই অম্বুবাচী চলাকালীন মাটিতে কোনওরকম কোপ দেওয়া যাবে না। ফলে বন্ধ রাখা হয় বীজ রোপন ও  চাষের কাজ। কোনও গাছ কাটাও হয় না। এই সময়ে কোনও দেবীর পুজো করা উচিত নয়। মা দুর্গা ও মা কালী থেকে শুরু করে মা বিপত্তারিণী, দেবী রূপের সমস্ত মূর্তি ও ছবি লালকাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। সেগুলি স্পর্শও করা যাবে না পুজো করলেও করা যায় না মন্ত্রপাঠ। অম্বুবাচীর সময় শুধুমাত্র প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে প্রণাম করতে হয়। একমাত্র গুরুর পুজো আর তার মন্ত্র জপের বিধান আছে শাস্ত্রে। শুধু কোনও বছর অম্বুবাচীর সময় যদি জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পড়ে তাহলে তা করতে কোনও বাধা নেই বলে উল্লেখ আছে। 


ধর্মগুরু ও জ্যোতিষীদের মতে, অম্বুবাচীর সময় বাড়িতে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। গৃহপ্রবেশ থেকে বিয়ে, এই সময়টা এড়িয়ে যাওয়া ভালো। নখ ও চুল না কাটার পাশাপাশি চুলে শ্যাম্পু করাও বারণ।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।