কলকাতা: প্রতি বছর অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে ১০ দিনব্যাপী গণেশোৎসবের পর গণেশ প্রতিমার বিসর্জন করা হয়। অনেকে গণেশ পুজোর পরের দিনও ঠাকুর বিসর্জন করে থাকেন। এটি গণেশ বিসর্জন করার জনপ্রিয় দিনগুলির মধ্যে একটি। ভক্তরা বিকেলে গণেশ পূজা করে এবং মধ্যাহ্নের পরে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যায়। (Anant Chaturdashi) 


এই বছর অনন্ত চতুর্দশী ২৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার পড়ছে। ভাদ্রপদ শুক্ল চতুর্দশীতে পালিত হয় অনন্ত চতুর্দশীর উৎসব। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর অসীম রূপের পূজা করা হয়। এতে উপবাসের সংকল্প গ্রহণের পর অনন্তসূত্র বাঁধা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি পরলে ঝামেলা দূর হয়। এই দিনে, ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা সারাদিন উপবাস করেন এবং পূজার সময় পবিত্র সুতো বেঁধে রাখেন। এই দিনে গণেশের বিসর্জনও করা হয়। (Ganesh Visarjan)                                                                      


অনন্ত চতুর্দশীর শুভ সময়


উদয় তিথি অনুসারে, ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অনন্ত চতুর্দশী উদযাপিত হবে। চতুর্দশী তিথি ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে রাত ১০.১৮ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬.৪৯ মিনিটে। অনন্ত চতুর্দশীর পূজার সময় হবে সকাল ৬:১২ থেকে সন্ধ্যা ৬:৪৯ পর্যন্ত। 


২০২৩ সালের অনন্ত চতুর্দশীতে গণপতি বিসর্জনের শুভ সময় 


অনন্ত চতুর্দশীর দিন ভগবান গণেশকে বিসর্জন দেওয়া হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর গণপতি বিসর্জনের জন্য তিনটি শুভ সময় রয়েছে। এ দিন সকাল ০৬:১১ থেকে ০৭:৪০ পর্যন্ত, তার পর সকাল ১০:৪২ থেকে ০৩:১০ এবং বিকাল ০৪:৪১ থেকে ০৯:১০ পর্যন্ত গণপতি বিসর্জনের শুভ সময়।


গণেশ বিসর্জনের সময় খেয়াল রাখুন যে গণেশজির শেষ পুজোয় যে যে সামগ্রী যেমন পান, সুপারি, মোদক, দুর্বা, নারকেল তাঁকে অর্পণ করেছিলেন সেগুলিকে গণেশজির মূর্তির সঙ্গে বিসর্জন দিয়ে দিন। নারকেল ফাটাবেন না, জলে ভাসিয়ে দিন। গণেশ মূর্তিকে ধীরে ধীরে বিসর্জন দিন। যদি ঘরে প্রতিমা বিসর্জন করছেন তাহলে মূর্তির থেকে বড় আকারের পাত্র নিন আর তাতে এতটাই জল দিয়ে ভরে রাখুন যাতে মূর্তি ভালো করে ডুবে যায়। এরপর পবিত্র জলটিকে কোনও গামলা বা পবিত্র গাছের শিকড়ের নীচে ফেলে দিন। এই জলে যেন কোনওভাবে পা না লাগে বা অশুদ্ধ যেন না হয়।