কলকাতা: পরিবার ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় বিপত্তারিণী পুজো (Bipodtarini Puja) করেন বাড়ির মহিলারা। ধর্মীয় বিশ্বাস, এই পুজোয় মা আদ্যাশক্তিকে সন্তুষ্ট করতে পারলে নাকি সমস্ত বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া। তাই শহর কিংবা গ্রামে আজও বিপত্তারিণী পুজো করতে দেখা যায় বাড়ির মহিলাদের। বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই পুজোর প্রচলন হলেও কিছু এমন কাজ রয়েছে যেগুলো করলে কমার বদলে বাডবে সমস্যা। এমনটাই মনে করেন ধর্মগুরু বা জ্যোতিষীরা।


তাঁদের কথায়, পরিবার ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় করা এই পুজোর সময় কিছু নিয়মনীতি মানতে হয়। না হলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। আসুন জেনে নিন কী কী কাজ করতে নেই মা বিপত্তারিণীর পুজোর সময়। শাস্ত্র মতে, বিপতারিণী পুজো যদি করেন তাহলে তার আগের দিন নিরামিষ খাবার খেতে হবে। কোনওভাবেই আমিষ কোনও খাবার মুখে দেওয়া যাবে না।


আরও পড়ুন: Food Habits: উপোসের সময় কেন পেঁয়াজ-রসুন খেতে বারণ করা হয়? নেপথ্যে কী কারণ?


সাধারণত মহিলারা এই পুজোয় অংশ নিলেও নিয়ম পালন করতে পারেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। তাই পুজোর দিন তাঁরাও চাল ও গমের কোনও খাবার খাওয়া খেতে বিরত থাকবেন। এই দিন কাউকে খারাপ বা কটূ কথা বলতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে। বাড়ির কোনও মহিলাকে খারাপ কথা বা অপমান করতে বারণ করা হয়েছে বারবার। এই দিন সমস্ত প্রকার নেশা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি চেঁচিয়ে কথা বলতেও বারণ করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় এই দিন চিনি ধার দিলে শুক্র দুর্বল হয়। তাই কাউকে চিনি ধার দেবেন না বিপত্তারিণী পুজোর দিন।  এমনকী পুজোর সময় কথা বললেও মা অসন্তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছর সোজা আর উল্টো রথের মাঝখানে শনি ও মঙ্গলবারে সাধারণত মা বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়ে থাকে। এই বছর বিপত্তারিণী পুজো হবে আগামী ৯ জুলাই শনিবার। তার আগে কী কী করতে নেই তা জেনে সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করলে সন্তুষ্ট হন দেবী।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে বন্ধ মন্দিরের দরজা, মেলা দেখতেই ভক্তদের ঢল কামাখ্যায়, কড়া বিধি জারি প্রশাসনের


ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।