নয়া দিল্লি: হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী উপোসের দিনগুলোতে পেঁয়াজ -রসুন খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে বলা হয়। এই খাবারকে তামসিক খাবার হিসেবেই দেখা হয় পুজো বিধিতে। একাদশী, প্রদোষ ব্রত থেকে শুরু করে অন্য যেকোনো বড় উপবাস ও উৎসবে এই খাদ্য উপাদানগুলিকে তাই দূরেই রাখা হয়। 


কিন্তু এর নেপথ্যের আসল কারণ কী? কেন উপোসের সময় কিংবা কোনও পুজোর সময় এই খাদ্যদ্রব্যগুলিকে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়? শাস্ত্র অনুসারে, সনাতন ঐতিহ্যে খাদ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি সাত্ত্বিক, দ্বিতীয়টি রাজসিক এবং তৃতীয়টি তামসিক খাদ্য। এই তিন ধরনের খাবার মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে।


সাত্ত্বিক খাদ্য: সাত্ত্বিক খাদ্যের মধ্যে রয়েছে দুধ, ঘি, ময়দা, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি। বলা হয় যে সাত্ত্বিক জিনিসের মধ্যে সর্বোচ্চ সত্ত্ব গুণ রয়েছে। তাই সাত্ত্বিক খাবার খেলে মানুষের শরীর ও মন সাত্ত্বিক থাকে। এই ধরনের মানুষের জীবনে অবশ্যই বেশি ইতিবাচক শক্তি থাকে।


বলা হয়ে থাকে, খাবার যদি শুদ্ধ হয় তবে মানুষ ভিতর থেকে পবিত্রতা লাভ করে এবং এটি ঈশ্বরের প্রতি মানসিক নিবেদনকে শক্তিশালী করে তোলে। মনে করা হয়, স্মৃতিশক্তি যত বাড়বে অন্তরের সমস্ত অজ্ঞানতার গিঁট খুলে যায়। সাত্ত্বিক খাবার খেলে মানুষের মন শান্ত হয় এবং চিন্তা শুদ্ধ হয়। পুজো বা উপোস হল ঈশ্বরের চিন্তায় নিজেকে মগ্ন রাখা। তাই এই সময়ে পেঁয়াজ, রসুন না খেতেই বলা হয়। 


রাজসিক খাবার


রাজসিক খাবারের মধ্যে রয়েছে নুন, লঙ্কা, মশলা, জাফরান, ডিম, মাছ ইত্যাদি। শাস্ত্র মতে যারা রাজসিক খাবার খান তাদের মন খুব চঞ্চল হয়। তাদের জীবনে স্থিতিশীলতা খুব কম। পুজোর সময় তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে বিলম্বিত হয় ঈশ্বরচিন্তা। 


আরও পড়ুন, পিছিয়ে যাচ্ছে শনি, ৩ রাশির ভাগ্যে তুমুল বদল, আচমকাই পাবেন টাকা, হবে উন্নতি


তামসিক খাবার 


রসুন ও পেঁয়াজ তামসিক খাবারের মধ্যে রয়েছে। কথিত আছে যে তামসিক জিনিসের অত্যধিক সেবনে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ে বা কমে। রাগ, অহং, উত্তেজনা এবং বিলাসিতা বেশি দেখা যায়। এই ধরনের ব্যক্তিদের অলস এবং অজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণেই উপবাস এবং উত্সবগুলির মতো পবিত্র দিনগুলিতে পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 


ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে