গুয়াহাটি : অম্বুবাচী। ঋতুমতী হয় ধরিত্রী। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই সময় সব দেবীরাই রজস্বঃলা হন। তাই এ সময় তিনদিন বন্ধ থাকে মন্দির। দেবীর মুখ থাকে কাপড়ে ঢাকা। এই সময় বর্ণাঢ্য মেলা হয় গুয়াহাটির সতীপীঠে। যদিও ভক্তদের জন্য এ সময় বন্ধ রাখা হয় কামাখ্যা মন্দির।
অম্বুবাচী শেষে তিন দিন পর রীতি মেনে খোলা হয় মন্দিরের দরজা। এই উপলক্ষ্যে মন্দির ও চত্বর সাজানো হয়েছে কয়েক হাজার প্রদীপ দিয়ে। আলোর মালায় সেজে উঠেছে গোটা এলাকা। ৫১ পীঠের অন্যতম এই পীঠে মা পূজিতা হন দশমহাবিদ্যা রূপে। অম্বুবাচীর সময় ৩দিন বন্ধ থাকে মন্দিরের দরজা। তারপর মন্দির খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। এখানে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মায়ের প্রসাদী কাপড়। মনে করা হয়, এটি মায়ের ঋতুস্রাবকালীন রক্তে ভেজা কাপড়।
এবারও কামাখ্যা মন্দিরে নেমেছে ভক্তদের ঢল। প্রতিবছর সাধারণ মানুষের সঙ্গে বহু ভিআইপিদেরও সমাগম হয় মেলায়। তাই থাকে বিশেষ ব্যবস্থা । তবে এবারে কামাখ্যায় পালন করা হচ্ছে বিশেষ নিয়ম।
এ বছর অম্বুবাচী মেলা চলাকালীন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করার জন্য, জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেমন -
- এবার এ সময় কোনও ভিআইপি পাস ইস্যু করা যাবে না। ভিআইপিদেরও সবার মতোই লাইনে দাঁড়াতে হবে।
- রাতে কামাখ্যার আশেপাশে ও পাণ্ডুঘাট থেকে রাস্তা বন্ধ থাকবে।
- কামাখ্যা গেট থেকে ফেরি সার্ভিস ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে এই সময়টা। শুধুমাত্র পাণ্ডু থেকে কামাখ্যা রুটে সীমিত ফেরি পরিষেবা মিলবে।
- যে কোনও সংগঠন এসে খাবার বা জল বিতরণ করতে পারবে না।
- মন্দিরের কাছে এবং পাণ্ডু নদীর ঘাটে ক্যাম্পের সুবিধা রাখা হয়েছে। তবে ক্যাম্পে কোনও খাবার বা বাসনকোসন আনা যাবে না।
প্রাচীন ভারতের প্রাগজ্যোতিষপুরই হল আজকের কামাখ্যা। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর ৩ শিখরের ওপর দেবী কামাখ্যার অধিষ্ঠান। গোটা নীলাচল পর্বতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে দশমহাবিদ্যার মন্দির। ‘কামেশ্বরীং যোনিরূপাং মহামায়াং জগন্ময়ীম’ তন্ত্রে কামাখ্যা মন্দির তৈরি নিয়েও নানা মত আছে।
আরও পড়ুন :
দেড়মণ দুধ ও ২২ ঘড়া গঙ্গাজলে জগন্নাথদেবের স্নান, ৬২৮ তম বর্ষে উৎসবমুখর মাহেশ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: