কলকাতা : ধন ত্রয়োদশীর উদযাপন একটা সময় অবধি সীমাবদ্ধ ছিল উত্তর ভারতেই। কিন্তু এখন বাংলার ঘরে ঘরেও পালিত হয় ধনতেরস। সোনা-রুপোর গয়না কিনতে ওই দিন ভিড় জমান মানুষ। তবে নিজের সাধ্যমতন যে কোনও ধাতব সামগ্রী কেনাই এই দিনের রীতি। মানা হয় নানা রীতি। এই তিথির সঙ্গে জুড়ে আছে অনেক পুরাণ-কথা ও কিংবদন্তী।
কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরস উৎসব। ধনদেবীর আরাধনার এক বিশেষ দিন। 


কালী করেন অশুভ শক্তির বিনাশ আর লক্ষ্মী ঘটান শ্রীবৃদ্ধি। তাই দীপাবলির দু'দিন আগে পালিত হয় ধনতেরস।



  • ধনতেরসে ধনলক্ষ্মী কেন পূজিতা ? 

    সমুদ্রের ক্ষীরসাগর থেকে উঠে এসেছিলেন মহালক্ষ্মী। অমাবস্যার অন্ধকার থাকায় লক্ষ্মীকে বরণ করে স্বর্গে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুষ্ঠানে আলোকমালায় সজ্জিত করা হয় স্বর্গকে। কালী করেন অশুভ শক্তির বিনাশ আর লক্ষ্মী ঘটান শ্রীবৃদ্ধি।

    আরও পড়ুন :

    ধনতেরসে কী কী জিনিস কিনতে সংসারে শ্রী আসবেই বলে বিশ্বাস ?




 


ধনতেরসের তারিখ ও সময়:


ধনতেরস পুজোর তারিখ: রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২


ধনতেরাস পুজোর সময় - বিকেল ৪.৪৮  থেকে ০৬.০৩ পর্যন্ত 

সময়কাল -১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট 


প্রদোষ কাল - বিকেল ৪.৪৮ থেকে সন্ধে ৭.২০ 

বৃষভ কাল - ৬.০৩ থেকে সন্ধে ৮ টা


ত্রয়োদশী তিথি শুরু হচ্ছে  - ২২ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে সন্ধে  ০৬.০২ থেকে
ত্রয়োদশী তিথি শেষ হবে - ২৩ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে সন্ধে  ০৬.০৩ থেকে


আয়ুর্বেদিক ঈশ্বর ধন্বন্তরীর জন্মবার্ষিকীও ধনতেরসের দিনে ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী বা ধন্বন্তরী জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। যমদীপ নামে পরিচিত একটি দ্বিতীয় অনুষ্ঠান ত্রয়োদশী তিথির দিনে পরিবারের সদস্যদের অকালমৃত্যু থেকে রক্ষা করার জন্য  করা হয়।


শ্রী ধন্বন্তরী পুজোর বিধানঃ


 নিজের এবং তাদের পরিবারের জন্য সুস্বাস্থ্য এবং সমস্ত অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় ধন্বন্তরির কাছে প্রার্থনা করেন। ভগবান ধন্বন্তরীকে স্নান করানো এবং তাঁর মূর্তির উপর সিঁদুর লাগানোর প্রক্রিয়ার পরে নয়  শস্য (নবধান্য) পরিবেশন করা হয়।


শ্রী কুবের পুজো বিধানঃ


ভগবান কুবেরকে পুজো করা হয়  এই তিথিতে এবং ফুল দেওয়া হয়।  ধূপ, দীপ,  ফল এবং মিষ্টিও দেওয়া হয় ।  ভগবান কুবেরের আশীর্বাদের জন্য মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়।


শ্রী লক্ষ্মী পুজোর বিধানঃ


সোনা, রূপা, তামা বা পোড়ামাটির তৈরি একটি কলস স্থাপন করা হয়। কয়েকটি ধানের শীষ, একটি ফুল এবং একটি মুদ্রা রাখা হয় এবং কলসের  তিন-চতুর্থাংশ জল ও গঙ্গাজলে ভরা হয়।


একটি ধাতব থালা যার মধ্যে ধানের শীষ এবং উপরে পাঁচটি আমের পাতা কলসের ভিতরে রাখা হয়। ধানের শীষের উপরে হলুদের গুঁড়ো দিয়ে একটি পদ্ম আঁকা হয় এবং এর উপরে মুদ্রা দিয়ে লক্ষ্মীর মূর্তি স্থাপন করা হয়।


দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কলসের সামনে গণেশের একটি মূর্তিও স্থাপন করা হয়। প্রদীপ জ্বালানোর পর হলদি, কুমকুম ও ফুল দিয়ে পুজো শুরু হয়।