কলকাতা : বাঙালিরা বৃহস্পতিবার দিনটিকে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার দিন হিসেবে দেখে। আবার কোথাও কোথাও শুক্রবার দিনটিকে দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। মাকে খুশি রাখতে ও তাঁর আশীর্বাদ পেতে মানুষ এই দিনগুলিতে তো বটেই, সারাবছরই নানা রকম চেষ্টা করে।  এই দিনে কিছু কাজ করলে দেবী লক্ষ্মী দ্রুত প্রসন্ন হন, আবার এমন কিছু কাজ আছে যা করলে মা লক্ষ্মীর অসন্তুষ্ট হতে পারেন। এই কাজগুলি করলে দেবী লক্ষ্মী কখনওই ঘরে আসেন না।

  


মনে রাখতে হবে - 



  • যেখানে সর্বদা ময়লা থাকে বা যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া হয় না সেসব বাড়িতে মা লক্ষ্মী কখনও বাস করেন না। এসব ঘরের দোর থেকেই মা লক্ষ্মী ফিরে আসেন বলে বিশ্বাস করা হয়। 

  • এমনকী যে সমস্ত বাড়িতে রাতে ঝাড়ু দেওয়া হয়, সেখানে কখনও দেবী লক্ষ্মী আসেন না বলে অনেকের মত। বিশ্বাস অনুসারে, রাতে মেঝে ঝাড়ু দিলে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন এবং ঘরে দারিদ্র্য আসে।

  • যাঁরা বিছানায় বসে খাবার খান, তারা কখনোই দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান না। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি হয় এবং জীবনে দারিদ্র্য আসে। 

  • যে ঘরে রাতে কাপড় ধোওয়া হয় সেখানে মা লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না বলে মনে করেন অনেকে। রাতে কাপড় ধোওয়া নেতিবাচক শক্তিকে শক্তিশালী করে বলে মনে করেন অনেকে। তাই কাপড় সবসময় সকালে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

  • সূর্যাস্তের পর কাউকে ধার দিলেও দেবী লক্ষ্মী রাগ করেন বলে বিশ্বাস। বিশ্বাস করা হয় যে এটি একজন ব্যক্তির উপর ঋণের বোঝা বাড়ায় এই সব কাজ। সূর্যাস্তের পর টাকা ধার দিলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। 

  • উচ্ছিষ্ট পাত্র রাতারাতি রাখা উচিত নয়। রাতে সবসময় রান্নাঘর এবং বাসনপত্র পরিষ্কার করে ঘুমোতে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। রাতে যেখানে এঁটো বাসনপত্র পড়ে থাকে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী কখনও বাস করেন না। 

  • ভগবান বিষ্ণু ছাড়া দেবী লক্ষ্মীর পুজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই বৃহস্পতি ও শুক্রবারে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর একযোগে পুজো করা উচিত। এই কাজ সংসারে সম্পদ বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। 

    আরও পড়ুন : পড়েছিল সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র, এখানে পাপস্খালন করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র, পড়ুন মরুতীর্থ হিংলাজ কথা 


    আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে