কলকাতা: হিন্দু ধর্মে (Hindusm) উপাসনাকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, দিন অনুযায়ী ঈশ্বরের আরাধনার প্রতিও ততটাই গুরুত্ব রয়েছে। মঙ্গলবার যেমন বজরঙ্গবলীকে (Bajrangbali) উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে যেই ভক্ত সত্য চিত্তে বজরঙ্গবলির পুজো করেন, ভগবান তাঁর সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন এবং সমস্ত কষ্ট দূর করেন।  


এই অলৌকিক গুণের কারণে রামভক্ত হনুমানকে (Hanumanji) সংকট মোচনও বলা হয়। হনুমানজির বহু রূপের পুজো করা হয়। পবনপুত্রের এই রূপের আরাধনা করলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। জেনে নিন বাড়িতে তাঁর কোন রূপের পুজো করা উচিত এবং এর ফলে কী কী ফল পাওয়া যায়।


পঞ্চমুখী হনুমান


যে বাড়িতে ভগবান হনুমানের পঞ্চমুখী রূপের পুজো করা হয় সেখানে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং উন্নতির পথ খুলে যায়। যদি বাড়িতে কোনো নেতিবাচক শক্তির ছায়া অনুভূত হয় তাহলে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়। এই ছবিটা এমন জায়গায় রাখুন যেখানে সবাই দেখতে পাবে। ভগবানের পঞ্চমুখী রূপের ছবি রাখলে ঘরে অশুভ ছায়া ঢুকবে না। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, রাবণের পুত্র অহিরাবনকে বধ করার জন্য হনুমানজি পঞ্চমুখী রূপ ধারণ করেছিলেন।


বীর হনুমান


বীর হনুমানজির পুজো করলে একজন ব্যক্তি সাহস, শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস পায়। ভগবানের এই রূপের নামের সঙ্গে বীর যুক্ত। এটা তার সাহসিকতার পরিচয় দেয়। তাঁর এই রূপের পুজো করলে কাজের বাধা দূর হয়।


একাদশী হনুমান


কালকারমুখ নামক ভয়ঙ্কর রাক্ষসকে বধ করার জন্য ভগবান শ্রী রামের নির্দেশে হনুমানজি একাদশী রূপ ধারণ করেছিলেন। শনিবার তিনি রাক্ষন ও তাঁর সৈন্যবাহিনীকে বধ করেছিলেন।মনে করা হয় যে হনুমানজির একাদশী রূপের পুজো করলে যে ফল পাওয়া যায়। সমস্ত দেব-দেবীর পুজো করা।


দাস হনুমান


হনুমানজির এই রূপটি প্রায়শই ফটোগ্রাফগুলিতে দেখা যায়। এই রূপে হনুমান জিকে ভগবান রামের পায়ের কাছে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। এমন মূর্তি প্রায়ই বাড়িতে দেখা যায়। হনুমানজির এই রূপের পূজা একজন ব্যক্তির মধ্যে উৎসর্গ ও সেবার মনোভাব জাগিয়ে তোলে এবং সেই ব্যক্তি সর্বদা সফল হয়।


রামভক্ত হনুমান


শ্রী রামকে ভক্তি করার সময় হনুমান জির রূপের পূজা করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। হনুমানজির এই ছবিতে তাঁর হাতে একটি করতাল দেখা যায়। তাঁর এই রূপের আরাধনা করলে জীবনের প্রতিটি লক্ষ্য বিনা বাধায় সহজে অর্জন করা যায়।


সূর্যমুখী হনুমান


শাস্ত্রমতে, পৃথিবীকে আলোক দানকারী সূর্য দেবতাকে হনুমান জির গুরু হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। হনুমান জির সূর্যমুখী রূপের পূজা করলে শিক্ষা, বুদ্ধি, জ্ঞান, উন্নতি ও সম্মান পাওয়া যায়। সূর্য -মুখমুখী হনুমানকে পূর্বমুখী হনুমানও বলা হয়।


ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে