কলকাতা: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, হনুমানজিকে ভগবান শিবের ১১ তম অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কথিত আছে, কলিযুগে একমাত্র হনুমানজিই আছেন, যিনি পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে বিরাজমান। সত্যিকারের মন ও পূর্ণ ভক্তি সহকারে তাঁকে স্মরণ করলে তিনি ব্যক্তিকে প্রকৃত দর্শন দেন। শুধু তাই নয়, তারা তাদের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পায়। কথিত আছে, বজরঙ্গবলীর পূজা করলে মানুষ সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পায়।


জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, আপনিও যদি হনুমানজির আশীর্বাদ পেতে চান, জীবনে আসা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে তাঁর পুজো করার সময় কিছু বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কথিত আছে শুধুমাত্র পুরুষরাই হনুমানজির পূজা করতে পারে। তবে শাস্ত্র অনুসারে মহিলারাও কিছু নিয়ম মেনে হনুমানজির পুজো করতে পারেন। আসুন জেনে নেই এই বিশেষ নিয়মগুলো সম্পর্কে।


হনুমানজির পুজো করার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন


১। প্রতিমা স্পর্শ করবেন না


শাস্ত্র অনুসারে, হনুমানজি ব্রহ্মচারী ছিলেন, তাই কেবল পুরুষরাই তাঁর পুজো করতে পারেন। তবে ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে মহিলারাও যদি হনুমানজির পূজা করতে চান তবে তারা তা করতে পারেন। পুজো করার সময় শুধু হনুমানজির মূর্তি স্পর্শ করবেন না। হনুমানজি শিশু ব্রহ্মচারী। তাই শুধু হাত না ছুঁয়ে করা পুজোই সফল বলে বিবেচিত হয়।


২। হনুমানজির সামনে মাথা নত করবেন না


কলিযুগে, হনুমানজিই একমাত্র দেবতা যিনি পৃথিবীতে ভক্তদের মধ্যে বিরাজমান। কথিত আছে যে নারীদের হনুমানজির সামনে মাথা নত করা উচিত নয়। কথিত আছে যে বজরঙ্গবলী নিজে দেবী সীতায় বিশ্বাস করতেন এবং তার সামনে মাথা নত করতেন। তিনি সকল নারীকে তার মায়ের সমান মনে করেন। তাই তারা চায় না কোনো নারী তাদের সামনে মাথা নত করুক। বজরংবলীর পূজা করার সময় উভয় হাত অবনত করতে হবে। ভুল করেও মাথা নত করবেন না। 


৩। জল এবং তেল অফার করবেন না


শাস্ত্রে বলা আছে নারীদের হনুমানজির ছবিতে জল ও তেল দেওয়া উচিত নয়। এতে করে হনুমানজী রেগে যান।


 


ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।