কলকাতা : আজ শ্রীকৃষ্ণর রাসযাত্রা। ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি স্থানই অলৌকিকতায় পূর্ণ। আজও, বৃন্দাবনের নিধিবনে জনশ্রুতি রয়েছে যে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং রাধা মধ্যরাতের পরে নিধি বনে রাস করেন। এই জঙ্গলে একটি প্রাসাদও রয়েছে, যার নাম রং মহল। আজও রং মহলে মাখন ও চিনি রাখার ঐতিহ্য রয়েছে।
ভগবান কৃষ্ণের অলৌকিকতায় পূর্ণ স্থানগুলির মধ্যে একটি হল- বৃন্দাবনের নিধি বন। বিশ্বাস করা হয় যে, এখানে প্রতি রাতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে রাসলীলা করেন। যাঁরা এই রাসলীলা দেখার চেষ্টা করেছেন তাঁরা হয় পাগল হয়ে গেছেন, নয়তো মারা গেছেন। তাই নিধিবন প্রতিদিন সন্ধেয় খালি করে দেওয়া হয়। এমনকী পশু-পাখিও সন্ধের পর এই বন ছেড়ে চলে যায়। কথিত আছে, নিধি বনের রং মহলে সন্ধেয় ভগবান কৃষ্ণ ও গোপীদের অন্ন দেওয়া হয়, যা সকালে দেখা যায় না। এটাও বলা হয় যে, কৃষ্ণ এখানে তাঁর চিহ্ন রেখে যান।
রং মহলের সঙ্গে যুক্ত পুরোহিতের বক্তব্য অনুযায়ী, সন্ধে ৭টায় এখানে চন্দন কাঠের বিছানা সাজানো হয় এবং পাশেই রাখা হয় জলের পাত্র। রাধার জন্য সাজসজ্জার জিনিসপত্র, দাঁত ও পান। সকালে দেখা যায়, পাত্রে জল অবশিষ্ট নেই। পানও পাওয়া যায় না। এখানে তুলসি গাছ জোড়ায় জোড়ায়। কথিত আছে, রাতে রাস হলে এই সব গাছ গোপ-গোপী রূপে আসে।
রং মহলের একটি শোওয়ার ঘরও আছে। শোওয়ার ঘর গোছগাছ করে রাখা হয়। কিন্তু, সকালে শোওয়ার ঘরের দিকে তাকালে মনে হয় রাতে কেউ এই জায়গায় এসেছিল। যে প্রসাদ রাখা হয় তাও গ্রহণ করা হয়। এর পেছনের রহস্য কী তা আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। প্রায় আড়াই একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত নিধিবন। এখানকার গাছগুলিও অন্যান্য গাছের থেকে আলাদা। বনে থাকা কোনও গাছের কাণ্ড সোজা নয়। প্রতিটি গাছের শাখা-প্রশাখা জড়িয়ে আছে।
ডিসক্লেমার : এবিপি লাইভ এই সম্পর্কিত কোনও সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত তথ্য নিয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।
আরও পড়ুন ; বিশেষ কাউকে মিস করতে পারেন এই রাশির জাতকরা, রবিবার কী আছে আপনার ভাগ্যে ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y