কলকাতা: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবকে জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপন করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসব গোকুলাষ্টমী নামেও পরিচিত। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দেশজুড়ে মহাধূমধাম করে জন্মাষ্টমী পালিত হয়।
দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না ! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ ।
কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ পরপর সাত দিন পর্বত বহন করেছিলেন এবং এই সময় তিনি অন্ন-জল একেবারেই গ্রহণ করেননি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। শ্রীমদ্ভাগবত অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করার জন্য ৫৬টি ব্যঞ্জনের ভোগ অর্পণ করা হয়।
৫৬ ভোগে কী কী থাকে?
ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপুয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।
আরও পড়ুন, জন্মাষ্টমীর দিনেই মঙ্গলের গমন, ৩ রাশিতে অর্থবৃষ্টি, জুটবে অঢেল সম্মান
কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ পরপর সাত দিন পর্বত এক আঙুলে বহন করেছিলেন । সেই সময় তিনি অন্ন-জল একেবারেই গ্রহণ করেননি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে শ্রীকৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন । তারপর থেকে জন্মাষ্টমীতে ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে ।
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে