ভুবনেশ্বর : জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে বহু মানুষের অসীম আগ্রহ। সাড়ে চার দশক পর খুলে গিয়েছে নীলাচলে জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডার। এই রত্নভাণ্ডার ঘিরে মানুষের আগ্রহের ছিল না অন্ত। ছিল বহু কিংবদন্তি। বহু বিশ্বাস। এই রত্নভাণ্ডার খুলতে গেলেই নাকি চোখ ঝলসে যাবে রত্নের ঝলকানিতে। রত্নভাণ্ডারে নাকি কিলবিল করছে সাপ ! তাই সর্প বিশেষজ্ঞদের নিয়েই ঢুকেছিল ১১ জনের দল। কেউ বলেন এই রত্নভাণ্ডারে আছে বৈদূর্য মণি, কেউ বলেন এতে আছে অমূল্য রত্ন।  জগন্নাথ দেবের রত্নভাণ্ডারের দরজা খুলেছে ৪৬ বছর পর। রথযাত্রার পর। কিন্তু তাতে কী কী মণিমানিক্য আছে, এখনও জানেন না সাধারণ মানুষ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, এতে আছে সাঙ্ঘাতিক সব অস্ত্র। 


ওই রিপোর্টে প্রকাশ,  ওই রত্নভাণ্ডার যে ১১ জনের দল খুলে দিয়েছে, তাদেরই এক প্রতিনিধি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, এই রত্নভাণ্ডারে নাকি রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহৃত তলোয়ার, বর্শা সহ বহু শতাব্দীপ্রাচীন অস্ত্র।   TOI সূত্রে প্রকাশ, ১৪ জুলাই রত্ন ভান্ডারে কিছু প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। যার মূল্য অপরিসীম। সেই সব সাবেকি মূর্তিতে রয়েছে চমকপ্রদ কিছু। জানা গিয়েছে, রত্নভাণ্ডারে আছে এমন কিছু অস্ত্র, যার বুকের কাছে ধরা নানা ধারাল অস্ত্র। অস্ত্রগুলি খুব ভারী এবং মরিচা পড়া, জানিয়েছেন নির্দিষ্ট কমিটির সদস্য । আপাতত অস্থায়ী স্ট্রংরুমে যুদ্ধের জিনিসপত্র সিল করে রাখা আছে।  এ


এই অস্ত্র বা  কোন যুগের তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি। তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকেই এক ইতিহাসবিদ জানিয়েছেন, জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের মতে, পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের অনন্তবর্মণ দেব ১১৯০ সালে পুরী মন্দির করেছিলেন৷ ২১৪ ফুট লম্বা মন্দিরটি  ১০.৭ একর জুড়ে বিস্তৃত। মূল মন্দির ছাড়াও চত্বরে রয়েছে  আরও ৯৫ টি মন্দির।  স্থানীয় মানুষজনের দাবি, জগন্নাথ মন্দির ১৮ বার আক্রমণ এবং লুণ্ঠন করা হয়েছিল। হানাদারদের লক্ষ্য ছিল মন্দিরের অপার ধনসামগ্রী।  জগন্নাথ মন্দির রক্ষা করার জন্য, তৎকালীন রাজারা রত্ন ভান্ডারে প্রাচীন অস্ত্রগুলি রেখে দিয়ে ছিলেন।  


ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এই অস্ত্রগুলি ইতিহাসের অনেক অধ্যায়ের কথা বলবে।  অস্ত্রগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। যাদুঘরে প্রদর্শন করা উচিত।


আরও খবর :                                      


১৩০০ যাত্রীকে নিয়ে ফের বেলাইন ট্রেন, দুর্ঘটনার মুখে সবরমতী এক্সপ্রেস