আজ লক্ষ্মীপুজো৷ ঘরে ঘরে ঐশ্বর্য-সম্পদের দেবী, গৃহশান্তির দেবী শ্রীলক্ষ্মীর আরাধনা ।  শাস্ত্রমতে কোজাগরি পূর্ণিমার দিন রাত জেগে দেবীর আরাধনা করা হয় ৷ দেবী তুষ্ট হলেই দেবেন সুখ-সমৃদ্ধির আশিস ৷ কোজাগরি কথাটির অর্থ হল, কে জেগে রয়েছে৷ কোজাগরি পূর্ণিমায় রাত জেগে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করাই শাস্ত্রমতে রীতি৷ এদিন অনেক সময়ই বাড়ির মহিলারা নিজে হাতেই মায়ের পুজো করেন। হালে যাঁদের মন্ত্র-বিধি-নিয়মের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় নেই, তাঁরাও চান এদিন দেবী লক্ষ্মীর আবাহন করতে। তাঁদের জন্য রইল, দেবীর আরাধনা মন্ত্র।  পুজো শুরুতে আচমন করবেন যে মন্ত্রে : ওঁ   তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্। ওঁ   অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা।যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।

Continues below advertisement

লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র : ওম পাশাক্ষমালিকাম্ভোজসৃর্ণিভৰ্য্যাম্যসৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্ব্বালঙ্কারভূষিতাম্। রৌক্মপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু ৷।

আবাহন মন্ত্র:

Continues below advertisement

ওঁ লক্ষ্মীদেবী ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিরুদ্ধস্য অত্রাধিষ্ঠান কুরু মম পূজান গৃহাণ।

মা লক্ষ্মীর বীজমন্ত্র'ওঁ হ্রীং শ্রীং কমলে কমলালয়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং হ্রীং শ্রীং মহালক্ষ্মী নমঃ'

মা লক্ষ্মী পুজোর মন্ত্রনমামি সর্বভূতানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে যা গতিস্ত্বৎপ্রপন্নানাং সা মে ভূয়াৎ ত্বদর্চনাৎ।। ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে। সর্বতঃ পাহি মাং দেবি মহালক্ষ্মী নমহস্তু তে।। পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র : নমস্তে সর্বদেবানং বরদাসি হরিপ্রিয়ে। যা গতিস্তং প্রপন্নানং স্বা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।এষ সগন্ধপুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ। 

প্রণাম মন্ত্র 

ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভেসর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।

লক্ষ্মীর স্তোত্র:ওঁ ত্রৈলোক্য-পূজিতে দেবি কমলে বিষ্ণুবল্লভে। যথা ত্বং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভব ময়ি স্থিরা ৷৷ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতিহরিপ্রিয়া। পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ রমা শ্রীঃ পদ্মধারিণী দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সংপূজ্য যঃ পঠেং।স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারাদিভিঃ সহ ।। কী কী নিবেদন করবেন শ্রী লক্ষ্মীকে         

প্রচলিত ধারণা, রাতের বেলা ঘরে ঘরে আসেন ধনের দেবী৷ যার পুজো-অর্চনায় তিনি তুষ্ট হন, সুখ ও সমৃদ্ধির বরদান দিয়ে যান তাঁকেই৷ সাধারণত, সন্ধের পর লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা ও রাত্রি জেগে পাশা খেলাই কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর বৈশিষ্ট্য৷ সাদা ফুল ও পদ্মফুল নিবেদনের মাধ্যমেই করা হয় লক্ষ্মীর আরাধনা৷ প্রসাদের উপকরণের মধ্যে চিড়ে ও নারকেল আবশ্যিক৷ এছাড়াও খিচুড়ি, বিভিন্ন সব্জির তরকারি ও নতুন চালের পায়েস প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করা হয় ধনদেবীকে৷          

রাত্রি জাগরনের রীতি 

প্রচলিত ধারণা, রাতের বেলা ঘরে ঘরে আসেন দেবী৷ যার পুজো-অর্চনায় তিনি তুষ্ট হন, সুখ ও সমৃদ্ধির বরদান দিয়ে যান তাঁকেই৷ সাধারণত, সন্ধের পর লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা ও রাত্রি জেগে পাশা খেলাই কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর বৈশিষ্ট্য।