কলকাতা: চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা যা সম্পর্কে সবাই কৌতূহল প্রকাশ করে থাকে। সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse) মতো চন্দ্রগ্রহণেরও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আধ্যাত্মিক, পৌরাণিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও চন্দ্রগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। চলতি বছরের দ্বিতীয় ও শেষ চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে ২৮ অক্টোবর গভীর রাতে। ভারতেও দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনেই চন্দ্র গ্রহণ থাকবে। এটি ভারতে দেখা দেবে তাই এখানে সূতক কাল মান্য হবে। আগামী ২৮ এবং ২৯ অক্টোবরের মধ্যরাতে এই চন্দ্র গ্রহণ হবে। ভারত থেকে আগামী শনিবার খন্ডগ্রাস চন্দ্র গ্রহণ দেখা যাবে।
শাস্ত্র মতে, সূতক কালে কোন ধরণের পূজার্চনা করতে নেই। এমনকি এই সময়ে কোন দেবদেবীকে স্পর্শ করাও নিষিদ্ধ। গ্রহণ শেষে স্নান সেরে পুজো অর্চনা শুরু করা উচিত। ২৮-২৯ অক্টোবর খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সূতক সময়টি ৯ ঘন্টা আগে অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর বিকেল ০৪.০৫ মিনিট থেকে শুরু হবে। গ্রহণ শেষ হবার সাথে সাথেই সূতক কাল শেষ হবে। এরপর থেকে পুজো করা যাবে। তবে সূতক কাল শুরু হবার আগেই এবারে লক্ষ্মীপুজো করে নেওয়া উত্তম।
ভারত ছাড়াও এই চন্দ্রগ্রহণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর এবং অন্যান্য স্থানেও দেখা যাবে।
শাস্ত্র অনুযায়ী, এই সময় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয় এবং ঈশ্বরের নাম স্মরণ করার কথাও বলা হয়। এই গ্রহণ অশ্বিনী নক্ষত্র ও মেষ রাশিতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুজোয় উত্সবের ব্যস্ততায় পরিশ্রান্ত বাঙালি। তবু, উদ্যাপনে ভাঁটা পড়েনি। আজ বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ধন-সম্পদের দেবীকে তুষ্ট করতে জোরকদমে তোড়জোড়। দুর্দশার মেঘ কাটিয়ে মা লক্ষ্মী কি মুখ তুলে চাইবেন? সেই আশাতেই শঙ্খধ্বনি, আলপনায় আন্তরিকতার সঙ্গে রীতি মেনে আরাধনা। কোজাগরী শব্দের অর্থ কে জেগে আছে? রাতে ধনদেবীর আরাধনা করাই চিরাচরিত রীতি। গৃহিণীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন। দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন বিশেষ প্রয়োজন। ফল-মূলের পাশাপাশি চিঁড়ে-নারকেল ছাড়া লক্ষ্মীপুজো ভাবাই যায় না। একে বলে চিপিটক। লক্ষ্মীর আরাধনা শেষে সারারাত জেগে পাশা খেলার রীতিও বহুল প্রচলিত। সবার একটাই প্রার্থনা, এসো মা লক্ষ্মী, বোসো ঘরে...।
আরও পড়ুন, লক্ষ্মীপুজোর সময়েই চন্দ্রগ্রহণ? কতক্ষণ অবধি থাকবে সূতককাল?