Maha Shivratri 2024:  ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয় । মনে রাখুন এই বছর  আগামী ৮ মার্চ, শুক্রবারে। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি শুরু এদিনই।


পুজোর সময় সূচি



  • চতুর্দশী পড়বে ৮ মার্চ রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে ।

  • চতুর্দশী তিথির শেষ হচ্ছে ৯ মার্চ সন্ধে ৬টা ১৭ মিনিটে।

  • শিবরাত্রিতে যেহেতু রাত জেগে মহাদেবের বিশেষ উপাসনা করা হয়, সেই কারণে মহাশিবরাত্রি পালিত হবে সূর্যোদয় ধরে অর্থাৎ  ৮ মার্চ।  


পুজো পদ্ধতি অনুযায়ী , রাত্রে চার প্রহরে চারবার পুজো করতে হয় শিবলিঙ্গে। মতান্তরে, চার প্রহরে চারবার পুজো করতে কেউ অক্ষম হলে প্রথম প্রহরেই পরপর চারবার শিবপুজো করে নেওয়া যেতে পারে।


অর্ঘ্যদানের মন্ত্র


শিবরাত্রি পালন করতে গেলে ভক্তিভরে, শুদ্ধচিত্তে পুজোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। প্রত্যেক প্রহরে স্নান ও অর্ঘ্যদানের সময় আলাদা আলাদা মন্ত্র পড়তে হবে।   শিবরাত্রিতে অর্ঘ্যদান করতে হবে এই মন্ত্র পড়ে -  ওঁ শিবরাত্রিব্রতং দেব পূজাজপরায়ণঃ। করোমি বিধিবদ্দত্তং গৃহাণার্ঘ্যং মহেশ্বর। নম শিবায় নমঃ মন্ত্রে অর্ঘ্য দিতে হবে।  


বিভিন্ন প্রহরে স্নানের নিয়ম



  • প্রথম প্রহরে দুধ দিয়ে স্নানের নিয়ম রয়েছে। দ্বিতীয় প্রহরে দধি দিয়ে স্নানের নিয়ম।

  • তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে স্নানের নিয়ম রয়েছে। চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে স্নানের নিয়ম রয়েছে।

  • শিবরাত্রি ব্রতকথা শুনতে হয় পুজো শেষে। রয়েছে আরও নানাবিধ নিয়ম। তবে সর্বাগ্রে দরকার শুদ্ধ চিত্ত।

    শিবপুজো করার সময় মনে রাখুন

    শিবের পুজোর ক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, কয়েকটি জিনিস আছে, যেগুলি অন্য দেবদেবীকে অর্পণ করা গেলেও, শিবকে করা যায় না। যেমন হলুদ ও সিঁদুর প্রায় সব দেবদেবীকে অর্পণ করা গেলেও, কখনই দেওয়া যায় না শিবকে। পার্বতীকে দেওয়া হয় মেহন্দি। কারণ তা তাঁর ১৬  শৃঙ্গারের অন্তর্গত। সেই কারণে, শিবকে তা দেওয়া হয় না। শাস্ত্র অনুযায়ী, শিবের শৃঙ্গারের হল ভস্ম। তুলসী পাতায় শিবপুজো হয় না। শিবলিঙ্গ থাকলে মাথার ওপর জলধর রাখতেই হবে।সেই জলধরা কোনওভাবেই যেন লোহার না হয়।   

    আরও পড়ুন : 

    শিবপুজোয় বেলপাতা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? না পেলে কী করবেন? 


    ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।