সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : আষাঢ় মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি। রথযাত্রার আগে স্নান যাত্রা। গ্রীষ্মের প্রবল কষ্টের পর গায়ে জল ঢেলে অঙ্গ জুড়ান জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা। একেবারে ২২ ঘড়া জল ঢেলে স্নান করেন মহাপ্রভু। তাই এই উৎসবের নাম স্নানযাত্রা। হুগলির মাহেশে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা এবার ৬২৮ বছরে পা দিল। 


সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। তারপর বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠের স্নানমঞ্চে।  দেড়মণ দুধ ও ২২ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় বিগ্রহকে। পুরীতে যেমন ১২ বছর অন্তর নব কলেবর হয়, মাহেশে বিগ্রহের কোনও পরিবর্তন করা হয় না। এতবছর ধরে একই বিগ্রহকে পুজো করা হচ্ছে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, এরপর জগন্নাথদেবের জ্বর হওয়ায় কয়েকদিন বন্ধ থাকবে মন্দির। রথযাত্রার ২ দিন আগে ফের মন্দির খোলা হবে। সেদিনই হবে নব কলেবর উৎসব।  


এদিন ভক্তদের ঢল নামে পুরীতেও। ভিড় হয় মায়াপুরেও।   এদিন পুরীর মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে স্নান মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হয়। স্নান করানো হয় ১০৮ ঘড়া জলে।  স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগন্নাথদেব। এই সময় হয় অঙ্গরাগ। ভেষজ রঙ দিয়ে জগন্নাথ দেবকে রাঙানো হয়। গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়লে হয় নবযৌবন উৎসব। পরদিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা।  


আরও পড়ুন :       


বর্ষার আগমন বার্তা স্পষ্ট, তবু এখনই ভারী বৃষ্টি নয় ! এই তারিখ থেকেই প্রবল বর্ষণ কলকাতায়