Nil Sasthi 2024 : বাংলা বছরের এক্কেবারে শেষে চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পালিত হয় নীল ষষ্ঠী। অনেকে একে নীলের পুজোও বলেন। সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই দিন মা ষষ্ঠীকে পুজো অর্পণ করা হয়, সেই সঙ্গে উপোস করে অভিষেক করা হয় ভগবান শিবের। শিব পুজোর বিশেষ নিয়ম আছে। তার আগে জেনে রাখা ভাল এই নীল পুজোর ব্রত কথা কী। যে কোনও ব্রতেরই একটি করে ব্রতকথা আছে।
নীলের ব্রতকথা
এক গ্রামে এক বামুন আর বামুনীর বাস ছিল। সে অনেককাল আগের কথা। তাঁদের দেবতায় বড় ভক্তি। কিন্তু তারা নীলের ব্রতের কথা জানতেন না। তাঁদের সংসারে একাধিক সন্তান আসে। কিন্তু তারা কেউই বেশিদিন বাঁচত না। বারবার সন্তান হারিয়ে ভেঙে পড়েন ওই দম্পতি। সংসারের সব সুখ তাদের কাছে অমূলক মনে হত। দুঃখের কথা মহাদেবকে খুলে বলতে তাঁরা কাশীবাসী হন। একদিন কাশীতে গঙ্গায় ডুব দিয়ে তাঁরা পাড়ে বসে দুঃখ করছেন। এমন সময় ঘটল এক অলৌকিক ঘটনা। কোথা থেকে এক বুড়ি এসে তাঁদের কাছে জানতে চাইল 'তোরা কাঁদছিস কেন?' বামুনীও কাঁদতে কাঁদতে তাঁদের বারবার সন্তানদের মৃত্যুর কথা জানাল ওই বুড়িকে। ওই বৃদ্ধা ছিলেন ছদ্মবেশে মা ষষ্ঠী । তিনি তখন জিজ্ঞাসা করলেন,তাঁরা নীল ষষ্ঠী ব্রত করেন কিনা । তাঁরা তো অবাক। বামুনী জিগ্যেস করল, সে আবার কী। বুড়ি তখন জানাল, পুরো চৈত্র মাস সন্ন্যাস যাপন করে করে সংক্রান্তির আগের দিন মা ষষ্ঠী ও ভগবান শিবের পুজো করে উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। সেদিন নিরামিষ খেতে হয়। শরবত খেয়ে ভাঙতে হয় উপবাস । এতে তুষ্ট হন শিব ঠাকুর। আর মঙ্গল করেন সন্তানদের। এই কথা বলে মা ষষ্ঠী কোথায় যেন মিলিয়ে গেলেন। তারপর বামুন-বামুনী নীলের ব্রত নিজেরা তো পালন করলেনই আর প্রতিবেশীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিলেন ব্রতকথা। তারপর আবার তাঁদের সন্তান এল।
আগামী ১৩ এপ্রিল, শুক্রবার পালিত হবে নীল ষষ্ঠী। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে সেদিন ২৯ চৈত্র ১৪২৯। এইদিন সন্ধ্যালগ্নে পুজো দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - Poila Boisakh 2024: পয়লা বৈশাখের আগে চৈত্রেই ঘর সাফ করা জরুরি, কী কী না করলেই নয় ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।