কলকাতা : হিন্দু পঞ্জিকা মতে, প্রতি মাসের শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই পালন করা হয় প্রদোষ ব্রত। সূক্ষ ভাবে বলতে গেলে, প্রত্যেক পক্ষের দ্বাদশীর শেষ ও ত্রয়োদশীর সূচনার অংশটিতে প্রদোষ ব্রতপালন করার বিধান রয়েছে।  হিন্দু ধর্মবলম্বীরা সূর্যাস্তের আগের ও পরের দেড় ঘণ্টা সময়কে বিশেষ পবিত্র বলে মনে করেন।  এইদিন দিনভর উপবাস করে ওই বিশেষ সময়ে শিবের পুজো করতে হয়। আগামীকাল রবিবার। এই দিন সারাভারতে পালন করা হবে প্রদোষ ব্রত।  যেহেতু এই দিনটি রবিবার, তাই এই দিনটিকে রবি প্রদোষ ব্রত বলা হচ্ছে। প্রদোষ ব্রত শুধুমাত্র প্রদোষ সময়েই করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন পদ্ধতিতে এই দিনে পুজো করলে ভোলানাথ প্রসন্ন হন। 


প্রদোষ উপবাসে শিবকে সন্তুষ্ট করুন এই ভাবে : 




    •  প্রদোষ ব্রতের পুজো হয় প্রায় সন্ধের সময়ে।  এই দিন সন্ধেয় শিবলিঙ্গে ঘি, মধু, দুধ, দই ও গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করুন। এর পরে শিবলিঙ্গে বেলপত্র,  ফুল অর্পণ করুন। এই দিন ভগবান শিবকে ঘি, চিনি এবং গমের আটার তৈরি খাবার নিবেদন করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস। 

    • প্রদোষ ব্রতের দিন কোন অভাবীকে দুধ, চিনি, সাদা কাপড় এবং দই দান করুন। ভোলানাথ শীঘ্রই দানে সন্তুষ্ট হন এবং তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। প্রদোষের সময় শিব মন্দিরে গিয়ে শিব রক্ষা স্তোত্র পাঠ করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। 

    • প্রদোষ উপবাসের দিন শিবলিঙ্গে দুধ, ধুতুরা, আখ, গঙ্গাজল, চন্দন, অক্ষত ও বেলপত্র নিবেদন করতে হবে। এতে মহাদেব প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের সব ইচ্ছা পূরণ করেন। প্রদোষ ব্রতের দিন শিবলিঙ্গে এই জিনিসগুলি নিবেদন করলে আর্থিক উন্নতিও হতে পারে। 

    • জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র দুর্বল থাকলেও প্রদোষ ব্রতের দিনে প্রতিকার কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এই দিনে সাদা বস্ত্র পরিধান করুন এবং ভগবান ভোলানাথের পুজো করুন। কপালে চন্দনের তিলক লাগিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এতে চন্দ্রের অবস্থান মজবুত হয় এবং মন শান্ত থাকে। 

    • যাঁদের পক্ষে সম্ভব, তাঁরা ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে স্নান সেরে পরিস্কার পোশাক পরে মহাদেবকে স্মরণ করুন।      


    • আরও পড়ুন : পড়েছিল সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র, এখানে পাপস্খালন করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র, পড়ুন মরুতীর্থ হিংলাজ কথা