কলকাতা : পুরাণে বলা হয়, হনুমান চার যুগে অমর । তাই তিনি আছেন আমাদের আশেপাশেই । পণ্ডিতদের অভিমত, যে কোনও নেতিবাচক শক্তি দূর করতে হনুমানের আরাধনা ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়। সব সঙ্কট দূরেন পবনপুত্র সঙ্কটমোচন। কথিত আছে, হনুমানজী নিজের নখ দিয়ে  বুক বিদীর্ণ করে দেখিয়েছিলেন । সকলে চাক্ষুষ করেছিলেন  সেখানে রামচন্দ্র ও মা সীতার অবস্থান। তাই হনুমানজিকে তুষ্ট করতে শ্রীরাম নাম অবশ্যই নেওয়া কর্তব্য। 


এছাড়া বজরংবলীর ছবি যদি সঠিক দিকে লাগানো হয়, তাহলে অনেকের গ্রহ দোষও কেটে যায়। শনির রোষানল থেকেও ঢালের মতো রক্ষা করেন হনুমানজি। 


কথিত আছে যে যদি কুণ্ডলীতে গ্রহের দোষ থাকে বা বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকে তবে  হনুমান চালিসা, সুন্দরকাণ্ড এবং বজরং পাঠ করা উচিত। এটি করলে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। হনুমান জির অনেক রূপ রয়েছে এবং প্রতিটি রূপের ছবি বাড়ির ভিন্ন দিকে রাখলে বাড়ির বাস্তু দোষ দূর হয়। আসুন জেনে নিই কোন দিকে কোন দিকে কোন হনুমানের ছবি রাখতে হবে। 



  • মনে করা হয়, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি থাকে, সেই বাড়িতে কখনও কোনও সমস্যা হয় না। পঞ্চমুখী ছবি লাগালে বাড়িতে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। আপনি যদি মনে করেন যে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব রয়েছে, তাহলে হনুমানজির শক্তি প্রদর্শনের ছবি লাগালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

  • হনুমানে ছবি সবসময় দক্ষিণ দিকে রাখতে হবে। কথিত আছে দক্ষিণ দিকে হনুমানজির প্রভাব বেশি। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে না। বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বাড়ির অশুদ্ধ স্থানে, সিঁড়ির নীচে, বা রান্নাঘরে হনুমানজির ছবি লাগানো উচিত নয়।

  • কথিত আছে যে বাড়ির দক্ষিণ দিকে লাল রঙের বসে থাকা হনুমানজির ছবি রাখলে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমে যায়। এই ছবি রাখলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

  • বাড়ির বসার ঘরে রাম দরবারে রাজা রামচন্দ্রের পায়ের কাছে বসে থাকা হনুমানজির ছবি রাখলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা, বিশ্বাস, স্নেহ ও ঐক্য বজায় থাকে। 

  • বাস্তুশাস্ত্র  অনুসারে, যাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাহস এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে তাঁদের জন্য বাড়িতে একটি পাহাড় বহনকারী হনুমানের ছবি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।  

    ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

    আরও পড়ুন : 


    মিঠে রোদ গায়ে মেখে সবুজে ডুব, বড়দিনে পর্যটকদের চিরন্তন আকর্ষণ শুশুনিয়া                         


    আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y