কলকাতা: রাখী বন্ধনের (Raksha Bandhan) উত্সব ভাই এবং বোনের মধ্যে অটুট ভালবাসার একটি চিহ্ন। এই দিনে ভাই তার বোনকে প্রতিটি কঠিন সময়ে তাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বোন তার ভাইয়ের হাতে এই 'রক্ষাসূত্র' বেঁধে তার দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করে। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা (Rakhi Purnima) তিথিতে পালিত হয় ভাই-বোনের রাখীবন্ধন উৎসব।
শুধু ভাই-বোন নয়, যিনি আপনাকে রক্ষা করেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, আপনি তাকে রাখী বাঁধতেই পারেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন তার সেনাবাহিনীর সঙ্গে রক্ষা বন্ধনের উৎসব পালন করতে, এতে পান্ডব ও তাদের সেনাবাহিনী রক্ষা পাবে। পুরাণ প্রসঙ্গেও রয়েছে রাখীবন্ধনের কথা। মহাভারতের শিশুপাল বধ হত্যায় শ্রীকৃষ্ণের রক্তাক্ত হাতে ওড়না বেঁধে দিয়েছিলেন দ্রৌপদী। ভাইকে রক্ষায় বোনের সেই বাঁধন দেশজুড়ে পালিত হয় রাখি বন্ধন উদযাপনে। আবার বঙ্গভঙ্গ আইনে যখন ভাগ হচ্ছে দুই বাংলা, সেই অশান্ত মূহুর্তকে সম্প্রীতির বন্ধনে বেঁধেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রাখী পূর্ণিমায় রয়েছে অনেক শুভ যোগ
এবছর পূর্ণিমা তিথি পড়েছে- ৩০ অগাস্ট ১০। ২৭ মিনিটের পর পূর্ণিমা আরম্ভ। ৩১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার, সকাল ০৭। ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এরপর কৃষ্ণ প্রতিপদ শুরু। এইদিনে রাত ৮। ১৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শতভিষা নক্ষত্রের প্রভাব। এরপর পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রের গমন শুরু হবে। রয়েছে সুকর্মাযোগও।
অন্যদিকে, পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি ৩০ অগস্ট সকাল ১০.৫৮ মিনিটে শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ৩১ আগস্ট সকাল ৭.০৫ মিনিটে। ভাদ্র পূর্ণিমা তিথির শুরু থেকে ৩০ আগস্ট অর্থাৎ সকাল ১০:৫৮ থেকে এবং রাত ০৯:০১ পর্যন্ত। এর সঙ্গে আয়ুষ্যামান যোগ, বুধাদিত্য যোগ, ভাসি যোগ এবং সানফা যোগও থাকবে রক্ষা বন্ধনের দিনে।
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস, শ্রাবণের পূর্ণিমা তিথিতে ভাদ্রের ছায়া থাকলে ভাদ্রকাল পর্যন্ত রাখী বাঁধা যায় না। পঞ্জিকা মতে, রাখী বাঁধার শুভ সময় ৩০ অগাস্ট- সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত। ৩১ অগাস্ট সূর্যোদয় থেকে সকাল ০৭.০৫ মিনিট পর্যন্ত।
এই দিনে গণেশকে প্রথমে রাখী অর্পণ করুন। এটি করলে অশুভ যোগের প্রভাব শেষ হয়। এই উৎসবে ভাই-বোনেরা দূরে থাকলে, বোন তার ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে ভগবান গণেশ বা শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির কাছে রাখী বাঁধতে পারেন।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।