কলকাতা : শ্রাবণ সোমবার (Sawan Somvar) । বিশেষ এই দিনগুলিতে দেশের যেখানেই বড় শিবক্ষেত্র (Shiv puja) রয়েছে, সেখানেই উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। বাংলায় শিবক্ষেত্রের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় বর্ধমানের ১০৮ শিবমন্দির (Shiv temple) । সেখানেও শ্রাবণ সোমবারে বহু ভক্তের সমাগম।
১০৮ শিব মন্দিরের মাহাত্ম্য
অনুমান করা হয়, সারা ভারতে ১০৮ শিবমন্দির মাত্র দু’টি জায়গায় আছে। আশ্চর্যজনক ভাবে এই দু’টি জায়গাই পূর্ব বর্ধমানে। মন্দিরে অধিষ্ঠিত ভোলানাথের প্রতি ভক্তদের অগাধ বিশ্বাস। ভক্তরা মনে করেন এই দুই মন্দিরে পুজো দিলে মুছে যায় গ্লানি। দূর হয় দুঃসময়। সারা বছর দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।
দুর্ভিক্ষ কাটে শিবপুজোয়
প্রথমটি বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে নবাবহাট। এখানে রয়েছে ১০৮ শিবের মন্দির। এখানে ১০৮টি শিবমন্দির রয়েছে আয়তাকারে সাজানো। এই মন্দিরের ইতিহাস বহু প্রাচীন। বিশ্বাস, নবাবহাট একসময় প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পডে। দুর্ভিক্ষে একের পর এক মৃত্যু শুরু হয়ে যায়। জনশূন্য হয়ে পড়ে গ্রাম। এই সময় গ্রামের উপর এসে পড়ে আরও এক দুর্যোগের কালো মেঘ। রাজা তিলকচাঁদের বিধবা পত্নী বর্ধমানের রানি বিষণকুমারীর সঙ্গে গোলযোগ বাঁধে ইংরেজদের। কিন্তু রানি ছিলেন শিবের ভক্ত। মহাদেবের আশীর্বাদে সে-সময় বর্ধমান বড় বিপদ কাটিয়ে ওঠে।
রানি নাকি সে-সময় স্বপ্নাদেশ পান মন্দির নির্মাণের জন্য । ১৭৮৮ সালে মন্দির স্থাপিত হয়। তৈরি হয় ১০৮ শিবের মন্দির। প্রত্যেকটি মন্দির ছোট কুঁড়ে ঘরের আকৃতির। প্রতিটি মন্দিরের ভেতরে স্থাপিত রয়েছে বিশ্বম্ভর। ভক্তরা দুধ এবং জল দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করেন। এরপর ফুল, ফল, মিষ্টি নিবেদন করেন।
কালনার বৃত্তাকার শিবমন্দির
এছাড়াও কালনাতেও রয়েছে ১০৮ শিবমন্দির। বর্ধমান রাজপরিবারই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করে। কালনার মন্দিরগুলি বৃত্তাকারে সাজানো। একটি বৃত্তে ৭৪ টি ও অন্য বৃত্তে ৩৪ টি মন্দির রয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, নবাবহাট-সহ দেশের প্রায় সর্বত্রই বেশির ভাগ শিবলিঙ্গ কালো রঙের। কিন্তু একমাত্র কালনার ক্ষেত্রেই সাদা ও কালো শিবলিঙ্গের সমাহার দেখতে পাওয়া যায়।
মাথা যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় পাবেন কীভাবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial