কলকাতা: উৎসবে উপহার হিসেবে অনেকেই টাকা দেন। এই টাকার অঙ্কের সঙ্গে এক টাকা জুড়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, আমরা পুরোহিত অর্থাৎ পূজারীকেও দক্ষিণা দেওয়ার সময় এক টাকা জুড়ে দিই। কেউ দক্ষিণা হিসেবে ৫০০ টাকা দেন। কেউ বা আবার ১০০০ টাকা। কিন্তু তার সঙ্গে সবসময় এক টাকা বেশি দিতে বলা হয়। হিন্দুরীতিতে এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। কী সেগুলি ? দেখে নেওয়া যাক।
এক দিয়ে শুভ কিছুর সূচনা - হিন্দুরীতি অনুসারে মনে করা হয়, যে কোনও শুভ জিনিসের সূচনা এক দিয়ে হয়। সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারেও তাই ধরা হয়। তাই অর্থের এই দানকে শুভ করতে একটা শেষে জোড়া হয়। এতে যেকোনও কাজ শুভ হয় বলে মনে করা হয়। এমনকি কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
অশুভ শূন্য - এক যেমন শুরুতে থাকে সংখ্যার। তেমনই শূন্য রয়েছে সবার শেষে। তাই শূন্যকে অশুভ বলে গণ্য় করা হয়। দক্ষিণা দেওয়ার সময় তাই শূন্য শেষে রয়েছে এমন কোনও অঙ্ক দিতে বারণ করা হয়। কারণ তা শেষকে চিহ্নিত করে। তাই শেষে এক যোগ করা হয়।
সামাজিক সম্পর্ক জোরদার করে - সামাজিক সম্পর্ক জোরদার করতে এক টাকা দেওয়া হয় বলে মনে করেন কেউ কেউ। এই এক টাকাকে দাতার তরফে ‘ঋণ’ হিসেবে ধরা হয়। সেই অর্থ গ্রহণ করলে পরে দাতার কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘ঋণ’ শোধ করতে হয়। এভাবেই সামাজিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
দ্রৌপদীর অক্ষয় পাত্র - ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে অক্ষয় পাত্র দিয়েছিলেন। দুঃসময়েও তাতে কিছু না কিছু অন্ন বেঁচে থাকবে। এমনই আশীর্বাদ দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এক টাকাকে অনেকে সেই অক্ষয় পাত্রের আদলেই ধরে নেন। যার অর্থ দুঃসময় এলেও টাকা ফুরোবে না। কিছু না কিছু থাকবে।
এক হয়ে থাকা - এক টাকা শুধুই টাকাকে বোঝায় না। বরং এটি এক হয়ে থাকাকেও বোঝায়। বাধাবিপত্তি, প্রতিকূলতা আসবেই। কিন্তু সেগুলিকে অতিক্রমও করতে হবে। আর অতিক্রম করতে হলে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। এক টাকা যেন সেই বার্তাই দেয়।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগের আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র - আইএএনএস